বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২৫, ১২:০২ পিএম

ইয়েমেনে মার্কিন কর্মকর্তাদের হামলার ছক

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২৫, ১২:০২ পিএম

ইয়েমেনে মার্কিন কর্মকর্তাদের হামলার ছক

ছবি: সংগৃহীত

ট্রাম্প প্রশাসন তীব্র রাজনৈতিক বিতর্কের মুখে পড়েছে। হোয়াইট হাউস নিশ্চিত করেছে যে, একজন সাংবাদিক ভুলবশত একটি অনিরাপদ গ্রুপ চ্যাটে যুক্ত হয়েছিলেন, যেখানে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ইয়েমেনে সামরিক হামলার পরিকল্পনা করছিলেন।  

অ্যাটলান্টিক ম্যাগাজিনের সাংবাদিক জেফরি গোল্ডবার্গ জানান, তিনি সিগনাল মেসেজিং অ্যাপে একটি গ্রুপ চ্যাটে যুক্ত হন, যেখানে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা সদস্য ছিলেন।  

গোল্ডবার্গ বলেন, হামলার দুই ঘণ্টা আগে তিনি মার্কিন বাহিনীর হামলার পরিকল্পনা, অস্ত্র ব্যবস্থাপনা, লক্ষ্যবস্তু ও সময়সূচি সম্পর্কে জানতে পারেন।  

এই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ডেমোক্র্যাটরা কঠোর সমালোচনা শুরু করেন এবং কিছু রিপাবলিকানও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

 

তথ্য ফাঁসের ঘটনায় তদন্তের দাবি

গোল্ডবার্গ জানান, সম্ভবত ভুলবশত তাকে গ্রুপটিতে যুক্ত করা হয়। তিনি একটি সিগনাল অ্যাকাউন্ট থেকে অনুরোধ পান, যা হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ওয়াল্টজের বলে মনে হচ্ছিল।  

পিবিএস-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘ভাগ্য ভালো, ভুলবশত কোনো হুথি সমর্থক এই তথ্য পায়নি। কারণ এতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সদস্যদের জীবন ঝুঁকিতে পড়তে পারত।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, তিনি এই রিপোর্ট সম্পর্কে অবগত নন।  

হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট এক বিবৃতিতে বলেন, ‘হুথিদের ওপর হামলা অত্যন্ত সফল ও কার্যকর ছিল।’

প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথও সামরিক অভিযানকে সফল বলে দাবি করেন এবং সাংবাদিক গোল্ডবার্গকে অবিশ্বাসযোগ্য বলে অভিহিত করেন।  

রিপাবলিকান স্পিকার মাইক জনসন এই ঘটনাকে ভুল বলে স্বীকার করেন, তবে বলেন, ‘শীর্ষ কর্মকর্তারা কেবল তাদের দায়িত্ব পালন করছিলেন।’

ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতারা ঘটনাটিকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করে তদন্তের দাবি তুলেছেন।  

ভ্যান্স ও ট্রাম্পের মধ্যে মতপার্থক্য

১১ মার্চ, গোল্ডবার্গ তার প্রতিবেদনে লেখেন যে, তিনি ওয়াল্টজ নামে এক অ্যাকাউন্ট থেকে সিগনাল অ্যাপে একটি অনুরোধ পান।  

এরপর ১৫ মার্চ, এক সুপারমার্কেট পার্কিং লটে বসে তিনি গ্রুপ চ্যাটে হামলার পরিকল্পনা সম্পর্কে বার্তা পড়েন এবং পরে খবর পান যে ইয়েমেনের রাজধানী সানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।  

একজন হুথি কর্মকর্তা তখন এক্স (টুইটার)-এ পোস্ট করেন যে, ওই হামলায় ৫৩ জন নিহত হয়েছেন।  

সিগনাল অ্যাপ সাধারণত সাংবাদিক ও সরকারি কর্মকর্তারা ব্যবহার করেন, কারণ এটি নিরাপদ যোগাযোগের জন্য জনপ্রিয়।  

ইউরোপ নিয়ে কটাক্ষ

গ্রুপ চ্যাটে ইউরোপের ভূমিকাও আলোচনায় আসে।  

ওয়াল্টজের নামে থাকা একটি অ্যাকাউন্ট ১৪ মার্চ লেখে, ‘এই শিপিং রুটগুলো পুনরায় চালু করার দায়িত্ব শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রকেই নিতে হবে।’

ট্রাম্পের অনুরোধে প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে ইউরোপের ওপর ব্যয়ভার চাপানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছিল বলে বার্তায় উল্লেখ করা হয়।  

ভ্যান্সের নামে থাকা একটি অ্যাকাউন্ট ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখে, ‘আমাদের হামলার ফলে ইউরোপীয়দেরই বেশি লাভ হবে। আমি সত্যিই চাই না আবারও ইউরোপকে বাঁচাতে যাই।’

প্রতিরক্ষামন্ত্রী হেগসেথের নামে থাকা অ্যাকাউন্ট তিন মিনিট পর জবাব দেয়, ‘ভাইস প্রেসিডেন্ট: আমি পুরোপুরি আপনার সঙ্গে একমত। ইউরোপের এই ফ্রি-লোডিং (পরজীবী আচরণ) অসহ্য। এটা একেবারে করুণ।’

সূত্র: বিবিসি

আরবি/এসএস

Link copied!