বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ২৭, ২০২৫, ০৯:১৫ এএম

সিনেটের জেরার মুখে তুলসি গ্যাবার্ডসহ তিন মার্কিন কর্মকর্তা

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ২৭, ২০২৫, ০৯:১৫ এএম

সিনেটের জেরার মুখে তুলসি গ্যাবার্ডসহ তিন মার্কিন কর্মকর্তা

ছবি: সংগৃহীত

ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলার গোপন তথ্য ভুলক্রমে ফাঁস হওয়ায় কংগ্রেসে কঠোর জবাবদিহির মুখে পড়েছেন ট্রাম্প প্রশাসনের তিন শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সিনেটে রুদ্ধদ্বার শুনানিতে ডেমোক্র্যাট সিনেটরদের কঠোর প্রশ্নের মুখোমুখি হন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ড, সিআইএ প্রধান জন র‌্যাটক্লিফ ও এফবিআই পরিচালক ক্যাশ প্যাটেল।  

বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ সিগন্যাল-এ সামরিক পরিকল্পনা সংক্রান্ত গ্রুপ চ্যাটে ভুলবশত এক সাংবাদিক যুক্ত হয়ে যান। এরপর সেই তথ্য দ্য আটলান্টিক ম্যাগাজিন ফাঁস করলে মার্কিন রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়। এই বিষয়টিকে জাতীয় নিরাপত্তার চরম লঙ্ঘন হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।  

মঙ্গলবার সিনেটের শুনানিতে রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও ডেমোক্র্যাটরা তুলসি গ্যাবার্ড ও জন র‌্যাটক্লিফকে কঠিন প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করেন।  

তুলসী গ্যাবার্ড ও জন র‌্যাটক্লিফ দাবি করেন, ওই গ্রুপ চ্যাটে গোপনীয় কোনো তথ্য ছিল না। পাশাপাশি, সিগন্যালের মাধ্যমে যোগাযোগ করার অনুমোদন রয়েছে বলেও জোর দেন সিআইএ প্রধান।  

তবে যখন প্রশ্ন করা হয়- গ্রুপ চ্যাটে ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত হুতি মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনার তথ্য ছিল কি না- তখন তারা সরাসরি উত্তর না দিয়ে বিষয়টি প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথের ওপর ছেড়ে দেন।

পিট হেগসেথ আগেই দাবি করেছিলেন, সিগন্যাল বার্তাগুলোতে যুদ্ধ পরিকল্পনা সম্পর্কিত কোনো স্পর্শকাতর তথ্য ছিল না।

তথ্য ফাঁসের দায় স্বীকার করলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা

এই ঘটনায় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ তথ্য ফাঁসের দায় স্বীকার করেছেন। তবে তিনি এর তদন্তের দায়িত্ব ইলন মাস্ককে দিয়েছেন- যা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।  

ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া

এই বিতর্কের মধ্যে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ওই চ্যাটে কোনো গোপনীয় তথ্য ছিল না। তবে ভবিষ্যতে জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা সম্ভবত সিগন্যাল আর ব্যবহার করবেন না।

তবে নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনাটি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক নীতির জন্য বড় ধরনের অস্বস্তি তৈরি করেছে। বিশেষত, হুতিদের ওপর চলমান হামলার গোপন পরিকল্পনা প্রকাশ হয়ে যাওয়ায় সামরিক কৌশল বিপর্যস্ত হতে পারে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই তথ্য ফাঁস প্রশাসনের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ব্যর্থতা ছিল, নাকি এটি আরও গভীর কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ? বিষয়টি নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছেন ডেমোক্র্যাট সিনেটররা।

আরবি/এসএস

Link copied!