আগাম নির্বাচনের ডাক কিংবা ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে কারাগার থেকে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত দেশটির প্রতিটি শহরে বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তুরস্কের প্রধান বিরোধী দলের নেতা ওজগুর ওজেল।
ওজগুর ওজেল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) চেয়ারম্যান। একরেম ইমামোগলুও একই দলের নেতা।
তিনি বলেছেন, দেশজুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী শনিবার ইস্তাম্বুলে বড় ধরনের বিক্ষোভ হবে। এর মধ্য দিয়ে ২০২৮ সালে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে ইমামোগলুকে দেশের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট করার জন্য দলের প্রচারের সূচনা হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘একরেম ইমামোগলুর প্রতি বিশ্বাস ও গণতন্ত্র এ বিক্ষোভকে আরও বড় এবং শক্তিশালী করে তুলবে।’ ইস্তাম্বুলে দলের সদর দপ্তরে বসে বিবিসির সঙ্গে কথাগুলো বলেন ওজেল।
ওজেল ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘আমরা যে শহরেই যাব, সেখানেই তাদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সমাবেশ হবে।’
এক সপ্তাহ আগে ইমামোগলু গ্রেপ্তার হন। এর প্রতিবাদে বিভিন্ন সড়কে বড় জমায়েত করছে বিরোধী দল। গত এক দশকে তুরস্কে এত বড় বিক্ষোভ হতে দেখা যায়নি।
তুরস্কে গণহারে গ্রেপ্তারের ঘটনাও ঘটছে। এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে বিক্ষোভ নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া সাত তুর্কি সাংবাদিকও আছেন।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এখনো বিপুলসংখ্যক মানুষের সমর্থন ধরে রেখেছেন। তিনি এ বিক্ষোভকে ‘পথ সন্ত্রাস’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, ইমামোগলুকে ইস্তাম্বুলের উপকণ্ঠে সিলিভরি কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা ভালো আছে এবং এখন পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়নি। তিনি তাঁর গ্রেপ্তারের ঘটনাটিকে অভ্যুত্থান বলে উল্লেখ করেছেন।
ওজেল মনে করেন, ইমামোগলুকে গ্রেপ্তার করার কারণ একটাই। আর তা হলো তাঁকে তুরস্কের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট না হতে দেওয়া। জনমত জরিপে আভাস দেওয়া হয়েছে, কারাগারে না থাকলে ইমামোগলু প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারেন।
তুরস্কের কর্মকর্তাদের দাবি , দেশটির আদালতগুলো স্বাধীন। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো তা মনে করে না।

-20250327052241.webp)

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন