সকালের শহরমুখী যাত্রায় এক অটোরিকশা চালক আটকে গেলেন মাঝপথেই। অচল রিকশাটি কাদার মধ্যে হেলে পড়তেই এগিয়ে এলেন কয়েকজন যুবক-ঠেলে পার করলেন কাদাময় পথ। এমন দৃশ্য এখন প্রতিদিনের চিত্র শেরপুর সদর উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়নের কুমরী কালিতলা বাজার থেকে কৃষ্ণপুরগামী দুই কিলোমিটারের গ্রামীণ কাঁচা সড়কে।
সড়কজুড়ে কাদার স্তুপ। যেন চলাচলের অযোগ্য এক কর্দমাক্ত নালা। আশপাশের অন্তত ৩ হাজার মানুষ এই সড়ক দিয়েই যাতায়াত করেন। কৃষকদের জন্য এটি মূলত সবজি ও ধান পরিবহনের একমাত্র পথ, যা এখন সম্পূর্ণ অকার্যকর হয়ে পড়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আনা-নেওয়াতেও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. বাসিরুজ্জামান বলেন, এ রাস্তায় চলাচল করতে নাভিশ্বাস উঠে যায়। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা সময়মতো ক্লাসে পৌঁছাতে পারে না। রোগী নিয়ে যেতে হলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। আমরা চাই, প্রশাসন দ্রুত এই রাস্তাটি পাকা করুক।
স্কুলশিক্ষক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে এই রাস্তাগুলো অবহেলিত। কেবল আশ্বাস শুনেই কেটে গেছে বছরের পর বছর। অথচ এই সড়ক দিয়েই ঐতিহ্যবাহী কুমরী তেঘরিয়া ফাজিল মাদ্রাসার বহু শিক্ষার্থী যাতায়াত করে। অবিলম্বে এই সড়কটি সংস্কার বা পাকাকরণ জরুরি।
বাজিতখিলা থেকে গাজীরখামারগামী মূল পাকা সড়ক থেকে সংযুক্ত এই কুমরী কালিতলা-কৃষ্ণপুর সড়কটি সংস্কার করা হলে স্থানীয়দের ভোগান্তি অনেকটাই লাঘব হবে বলে মনে করছেন বাসিন্দারা।
বিষয়টি নিয়ে সদর উপজেলার ইউএনও আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভূঁইয়া বলেন, রাস্তাটি ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন। তবে ভবিষ্যতের উন্নয়ন বাজেটে আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই রাস্তার সংস্কার ও পাকাকরণ বিবেচনায় রাখব।
আপনার মতামত লিখুন :