মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজকে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে তাকে মনোনয়ন দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওয়াল্টজের শূন্যপদ সাময়িকভাবে পূরণ করবেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।
ট্রুথ সোশ্যালে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, মাইক ওয়াল্টজ এখন আর যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পদে নেই। ওয়াল্টজকে মনোনয়ন দেয়া হচ্ছে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে। যুদ্ধের ময়দান থেকে কংগ্রেস এবং হোয়াইট হাউস— সব জায়গায় দেশের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন মাইক। তেমনভাবে তিনি আন্তর্জাতিক পরিসরেও নেতৃত্ব দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ট্রাম্প জানান, ওয়াল্টজের শূন্যপদ সাময়িকভাবে পূরণ করবেন বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি দুই দপ্তরের কাজ একসঙ্গে সামলাবেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসন একদিকে নতুন আস্থা প্রকাশ করছে, অন্যদিকে পূর্বের সমালোচনাও সামাল দিতে চাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ‘সিগনালগেট’ বিতর্কের পর থেকেই ওয়াল্টজের পদ নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। তিনি মার্চ মাসে একটি সিগনাল গ্রুপ চ্যাট তৈরি করেন, যেখানে ইয়েমেনে হুতিদের ওপর হামলার পরিকল্পনা চলছিল। ভুলবশত সেই গোপন চ্যাটে যুক্ত হয়ে যান সাংবাদিক জেফরি গোল্ডবার্গ। পরে সেই গ্রুপ চ্যাটের কথাবার্তা ফাঁস হলে শুরু হয় তোলপাড়।
যদিও ট্রাম্প প্রশাসন জানায়, সেখানে গোপন কোনো নথি ছিল না। তবে ওয়াল্টজের ভূমিকাকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছিল প্রবল বিতর্ক। সংবাদমাধ্যমগুলো একে ‘সিগনালগেট’ নাম দেয়, যা জাতীয় নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। সেই সময় থেকেই তার দায়িত্ব নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়।
আপনার মতামত লিখুন :