পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২২ জন নিহতের ঘটনার জের ধরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ঘটে গেছে ৪ দিনের সশস্ত্র যুদ্ধ।
বুধবার (৭ মে) থেকে শুরু হওয়া ৪ দিনের এ যুদ্ধে ভারত-পাকিস্তানের হামলা পাল্টা হামলায় দুদেশেরই অনেক বেশি ক্ষয়-ক্ষতির তথ্য পাওয়া গেছে।
এ যুদ্ধে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে একটি সামরিক অভিযানের দাবি করে, যার নাম দিয়েছে ‘অপারেশন বুনইয়ানুম মারসুস’। পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এবং নিরাপত্তা সংস্থার বরাতে জানানো হয়েছে যে, এই অভিযানে ভারতের বেশ কিছু কৌশলগত ও সামরিক স্থাপনায় আঘাত হানা হয়েছে।
নিচে উল্লেখ করা হলো পাকিস্তানের দাবিকৃত সেই আঘাতের বিস্তারিত তালিকা-
১. ভারতের পাওয়ার গ্রিডে সাইবার হামলা
পাকিস্তানের দাবি অনুযায়ী, একটি সুসংগঠিত সাইবার আক্রমণের মাধ্যমে ভারতের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার ৭০ শতাংশ অকার্যকর করে দেওয়া হয়েছে। এটি ভারতীয় জ্বালানি ও পরিকাঠামোর ওপর একটি বড় ধরনের চাপ তৈরি করেছে।
২. আদমপুরে এস-৪০০ সিস্টেম ধ্বংস
ভারতের শক্তিশালী বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ ধ্বংসের দাবি করেছে পাকিস্তান। জানানো হয়েছে, পাকিস্তান বিমান বাহিনীর (পিএএফ) জেএফ-১৭ বিমান থেকে উৎক্ষেপণকৃত হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে এই হামলা চালানো হয়।
৩. রাজৌরিতে গোয়েন্দা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
অধিকৃত কাশ্মীরের রাজৌরি অঞ্চলে অবস্থিত একটি ভারতীয় সামরিক গোয়েন্দা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। পাকিস্তান বলেছে, এই কেন্দ্রটি পাকিস্তানে ‘সন্ত্রাসবাদ পরিচালনার’ জন্য ব্যবহৃত হতো।
৪. অন্যান্য সামরিক স্থাপনায় আঘাত
# ‘কেজি টপ’ ব্রিগেড সদর দপ্তর: গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কমান্ড সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত।
# উরি ফিল্ড সাপ্লাই ডিপো: সামরিক সরঞ্জাম ও রসদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র।
# বিভিন্ন বিমান ঘাঁটি: আদমপুর, উধমপুর, পাঠানকোট, সুরতগড়, সিরসা, ভাটিন্ডা, হালওয়ারা এবং আখনুর বিমান ঘাঁটিতে হামলার দাবি করা হয়েছে।
৫. গোলন্দাজ ও ক্ষেপণাস্ত্র অবস্থান
# মানকোটের দেহরাঙ্গিয়া: এখানে ভারতীয় আর্টিলারির একটি অবস্থান ধ্বংস করা হয়েছে।
# বিয়াসে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র স্টোরেজ সাইট: ভারতের অন্যতম আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্রহ্মোস-এর সংরক্ষণ কেন্দ্রও হামলার লক্ষ্য হয়েছে।
৬. সীমান্তবর্তী পোস্টে হামলা
# ফুকলিয়ান সেক্টর সংলগ্ন ভারতীয় পোস্ট
# এলওসি-জুড়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট: রাবতানওয়ালি, জাজিরা কমপ্লেক্স, কাফির মেহরি, শাহপার ৩ ও গদর টপ - এসব পোস্টে হামলার মাধ্যমে কৌশলগত সুবিধা অর্জনের চেষ্টা করা হয়েছে।
পাকিস্তানের এই অভিযানের দাবিগুলোর সত্যতা স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এখনো পর্যন্ত এসব দাবির ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। এই পরিস্থিতিতে অঞ্চলজুড়ে উত্তেজনা আরও তীব্র হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।