ঢাকা সোমবার, ১২ মে, ২০২৫

ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসতে রাজি পুতিন

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ১১, ২০২৫, ১১:৫৩ পিএম
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি : সংগৃহীত

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে ছোটাছুটি করছেন বিশ্বনেতারা। তারা এ নিয়ে নানা আলাপ-আলোচনা তুলছেন। সর্বশেষ রোববার (১১ মে) রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আগামী বৃহস্পতিবার তুরস্কে ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন। এতে আশার আলো দেখছেন বিশ্বনেতারা। 

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ঘোষণা দিয়েছেন, তারা পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রস্তুত। তিনি আগে যুদ্ধবিরতি, পরে আলোচনা চান। দু’পক্ষকে আলোচনায় বসাতে প্রস্তুত থাকার কথা জানিয়েছে তুরস্কও। নতুন পোপ লিও রোববার তার প্রথম বার্তায় বিশ্বের প্রধান শক্তিগুলোকে আর যুদ্ধ না করার আহ্বান জানিয়েছেন। 

এদিন ভোরে ক্রেমলিনে এক ভাষণে পুতিন আলোচনায় বসার কথা তোলেন। তিনি ২০২২ সালের স্থগিত হয়ে যাওয়া রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা ফের শুরু করার প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই আমরা কিয়েভ কর্তৃপক্ষকে ফের শান্তি আলোচনা শুরু করার প্রস্তাব দিচ্ছি। আগামী বৃহস্পতিবার ইস্তাম্বুলে আলোচনা শুরু করা যেতে পারে।

এর আগে, শনিবার পুতিনকে ৩০ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার আহ্বান জানান ইউরোপের প্রভাবশালী চারটি দেশ ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও পোল্যান্ড। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ সফরকালে ইউরোপীয় নেতারা হুঁশিয়ারি দেন, রাশিয়া যদি সোমবার থেকে যুদ্ধবিরতি না মানে তাহলে পুতিনের ওপর আরও কঠোর চাপ সৃষ্টি করা হবে। 

এদিকে শনিবার রাশিয়ার পক্ষ থেকে ঘোষিত তিন দিনের একতরফা যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হয়। নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে পুতিন ওই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। যুদ্ধবিরতির মধ্যেও হামলার অভিযোগ তুলেছে ইউক্রেন। আর যুদ্ধবিরতির শেষে হামলা শুরুর কথা জানিয়েছে মস্কো।

তুরস্কে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় বসতে পুতিন রাজি হওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেনের জন্য সম্ভবত একটি দুর্দান্ত দিন আসতে যাচ্ছে। তিনি এই আলোচনা ফলপ্রসূ করতে উভয় পক্ষের সঙ্গে কাজ করতে রাজি। ট্রাম্পের ইউক্রেনবিষয়ক বিশেষ দূত কিথ কেলগ বলেছেন, শান্তি আলোচনা শুরুর আগে উভয় পক্ষকে প্রথমে নিঃশর্ত ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে হবে।

আলোচনায় বসার আগে মস্কোকে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি মেনে নওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জেলেনস্কি। এ ব্যাপারে ক্রেমলিন কোনো মন্তব্য করেনি। জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়া অবশেষে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে, যুদ্ধ অবসানের চিন্তা করছে, এটা ইতিবাচক লক্ষণ। সমগ্র বিশ্ব দীর্ঘদিন ধরে এই সম্মতির জন্য অপেক্ষা করছিল। এক দিনের জন্যও আর হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাওয়ার কোনো মানে হয় না– বলেন তিনি। তাঁর চিফ অব স্টাফ আন্দ্রি ইয়েরমাক বলেন, মস্কো সোমবার থেকে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেই কিয়েভ আলোচনায় বসবে।