যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে দেয়া সাক্ষাৎকারে জানান, তারেক রহমান শিগগিরই বাংলাদেশে ফিরবেন, ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, তারেক রহমান বীরের বেশেই দেশে ফিরবেন। বর্তমানে তিনি ভাড়ার জন্য বাড়ি খুঁজছেন, প্রয়োজনে শ্বশুরবাড়িতে উঠবেন।
এম এ মালেক বলেন, তারেক রহমানের নামে ঢাকায় কোনো বাড়ি নেই। এমনকি তার বাবা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায়ও তার ছেলের জন্য রাজধানীতে কোনো বাড়ি তৈরি করেননি।
তিনি উল্লেখ করেন, জিয়া সাহেব এক সময় ভাঙা স্যুটকেস ও ছেঁড়া জামাকাপড় নিয়ে জীবন শুরু করেছিলেন, যেটা নিয়ে একসময় শেখ হাসিনা পর্যন্ত কটাক্ষ করেছিলেন।
তিনি আরও জানান, বেগম খালেদা জিয়াও জিয়াউর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত বাড়িতে বসবাস করতেন, যা পরবর্তীতে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সরকার বেদখল করে।
এ প্রসঙ্গে মালেক বলেন, খালেদা জিয়া কখনো প্রতিশোধের রাজনীতি করেননি। এমনকি জেলে যাওয়ার পরেও দলকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যেন শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যায়।
এম এ মালেক দাবি করেন, দেশের ভেতরে বিএনপি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পথ বেছে নিলেও বিদেশে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক চাপে রেখেছে। বিশেষ করে যুক্তরাজ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতিনিধি দল আসার সময় বিএনপির কর্মীরা তাদের ১১ দিন ধরে অবরুদ্ধ করে রাখে।
তিনি বলেন, হাসিনা নিজেই চিৎকার করে বলেছিল, তারেক রহমানকে বলো হোটেল পাই না, বিএনপিকে বলো হোটেল পাই না।
মালেক দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রের নাম শুনলে শেখ হাসিনার অবস্থা এতটাই সঙ্কটাপন্ন হয়ে পড়ত যে মনে হতো প্রসব ব্যথা বেড়ে গেছে।
এম এ মালেকের এই বক্তব্য দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনা সৃষ্টি করেছে। তারেক রহমানের দেশে ফেরার সম্ভাবনা এবং বিএনপির পরবর্তী কৌশল নিয়ে এখন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে নানা গুঞ্জন চলছে।