বাণিজ্য যুদ্ধের উত্তেজনা কমাতে ৯০ দিনের জন্য শুল্ক কমাতে রাজি হয়েছে মর্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। এই সময়ে শীর্ষ দুই অর্থনৈতিক রাষ্ট্রই বাণিজ্য যুদ্ধ স্থগিত রাখবে। পাশাপাশি নিজেদের মধ্যে চলা বিরোধ মিটিয়ে নেবে।
সোমবার (১২ মে) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় দুই দিনের বাণিজ্য আলোচনার পর যৌথ বিবৃতিতে জারি করেছে ওয়াশিংটন ও বেইজিং।
উভয় পক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যখন আলোচনা শুরু করছিলেন তখনও চীনা আমদানি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ১৪৫ শতাংশ শুল্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের অনেক পণ্যে চীনের ১২৫ শতাংশ শুল্ক ছিল।
কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, আগামী ১৪ মে থেকে পরবর্তী ৯০ দিনের জন্য ওই পাল্টাপাল্টি শুল্ক ১১৫ শতাংশ কমাতে রাজি হয়েছেন তারা। ফলে বেশিরভাগ চীনা পণ্যে দেওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক ১৪৫ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়াবে ৩০ শতাংশে। আর মার্কিন পণ্যে চীনের শুল্ক হবে মাত্র ১০ শতাংশ।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই দেশ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে একটি প্রক্রিয়া দাঁড় করানোর ব্যাপারেও একমত হয়েছে।
মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার বলেছেন, ১১৫ শতাংশ শুল্ক কর্তনের মাধ্যমে মার্কিন পণ্যের উপর চীনা শুল্ক ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। অন্যদিকে চীনা পণ্যের উপর মার্কিন শুল্ক ৩০ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। কারণ মার্কিন শুল্কের মধ্যে সর্বশেষ বাণিজ্য যুদ্ধের আগে ট্রাম্প কর্তৃক আরোপিত ২০ শতাংশ হার শুল্ক অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘এই পদক্ষেপ উভয় দেশের উৎপাদক ও ভোক্তাদের প্রত্যাশা পূরণ করবে। পাশাপাশি উভয় দেশের স্বার্থ ও বিশ্বের সাধারণ স্বার্থ অক্ষুণ্ন রাখবে। আমরা আশা করি যে এই বৈঠকের ভিত্তিতে মার্কিন পক্ষ চীনের সঙ্গে একই দিকে এগিয়ে যাবে, একতরফা শুল্ক বৃদ্ধির ভুল অনুশীলন সম্পূর্ণরূপে সংশোধন করবে এবং পারস্পরিক উপকারী সহযোগিতা ক্রমাগত জোরদার করবে।’
বাণিজ্য যুদ্ধ থামার ইঙ্গিত পেয়ে চীনের ইউয়ান ছয় মাসের সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। শুল্ক আরোপের পরের জরিপ অনুসারে, চীনে ১ কোটি ৬০ লাখ কর্মসংস্থান ঝুঁকির মুখে পড়েছে। অন্যদিকে মার্কিন পণ্যের বৃহত্তম সরবরাহকারীর উপর অত্যধিক শুল্ক আরোপের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির মুখোমুখি হচ্ছে।