রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি এবং স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আলোচনা আয়োজনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে তুরস্ক। এমনটাই জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।
রোববার (১১ মে) ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে এক টেলিফোন আলোচনায় এ প্রস্তাব দেন এরদোয়ান।
তুরস্কের প্রেসিডেন্সিয়াল কার্যালয় জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন, যুদ্ধ শেষ করার পথে একটি ‘ঐতিহাসিক মোড়’ এসেছে এবং এই সুযোগকে কাজে লাগানো উচিত।
তিনি আরও বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি এবং স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করতে তুরস্ক সর্বাত্মক অবদান রাখতে প্রস্তুত, যার মধ্যে আলোচনার আয়োজনও অন্তর্ভুক্ত।
এই আলোচনার প্রস্তাব এমন এক সময়ে এসেছে যখন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সরাসরি কিয়েভের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন, যা ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, মস্কো আগে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলে কিয়েভ আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।
এর আগে ফ্রান্সসহ ইউরোপের কয়েকটি বড় শক্তিধর দেশ কিয়েভ সফর করে পুতিনকে শর্তহীন ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছিল। তা না মানলে ‘ব্যাপক’ নতুন নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি দেয়।
এর আগে, ২০২২ সালের মার্চ মাসে রাশিয়া-ইউক্রেন আলোচনার আয়োজন করেছিল তুরস্ক। তখ খসড়া চুক্তিতে ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করতে বলা হয়েছিল এবং পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণসহ স্থায়ী নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণের প্রস্তাব ছিল।
উল্লেখ্য, ন্যাটো সদস্য তুরস্ক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রথম থেকেই কিয়েভ এবং মস্কোর সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছে।
দেশটি একদিকে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা প্রদান করেছে, অন্যদিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :