অবরুদ্ধ গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক অন্যত্র তাড়িয়ে দেওয়া হবে। আর এটাই হবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ধ্বংসযজ্ঞের ‘অনিবার্য পরিণতি’।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা কমিটির উদ্দেশ্যে এ কথা বলেছেন।
নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী ‘আরও বেশি ঘরবাড়ি ধ্বংস করছে’ এবং ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে অন্যত্র চলে যাওয়াই হবে সেখানকার ‘অনিবার্য পরিণতি’।
প্রথমবারের মতো গাজা উপত্যকায় ত্রাণ বিতরণের পরিকল্পনার কথাও উল্লেখ করেন নেতানিয়াহু।
তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনিরা কেবল তখনই সাহায্য পাবে, যদি তারা যে অঞ্চল থেকে এসেছে, সেখানে ফিরে যায়।’
তবে ত্রাণ বিতরণের পরিকল্পনা সম্পর্কে এখন পর্যন্ত যা বলা হয়েছে তার বিরোধিতা করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী, জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ ও অঞ্চলগুলোতে সরকারি কার্যক্রম সমন্বয়কারী (কোগ্যাট)।
হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করার পর থেকে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজায় কোনো ত্রাণবাহী গাড়ি ঢুকতে দিচ্ছে না ইসরায়েল। সোমবাব বিশ্বব্যাপী ক্ষুধা পর্যবেক্ষক সংস্থা জানিয়েছে, গাজায় দুর্ভিক্ষ আসন্ন এবং পাঁচ লাখ মানুষ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইহুদিদের নিয়ে আসুন’
নেতানিয়াহু ওই কমিটিকে আরও বলেছেন, তার সরকার ‘এখনই গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের কথা বলছে না’।
ইহুদি শক্তি দলের একজন অতি-ডানপন্থি এমপি লিমোর সন হার-মালেচ দীর্ঘদিন ধরে গাজায় বসতি স্থাপনের আহ্বান জানিয়ে আসছেন।
নেতানিয়াহুর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইহুদিদের নিয়ে আসুন, এভাবে আমরা এক ঢিলে দুই পাখি মারব’।
গত ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা উপত্যকা দখল করে ফিলিস্তিনিদের অন্য দেশে স্থানান্তর করার পরিকল্পনার কথা জানান।
চলতি মাসের শুরুতে নেতানিয়াহুর সরকার ফিলিস্তিনি ছিটমহলের ওপর যুদ্ধ সম্প্রসারণের নির্দেশ দেয়। এতে ফিলিস্তিনিদের গাজার দক্ষিণে চলে যেতে বাধ্য করা হয়।
পরিকল্পনা ঘোষণার সময় (অতি-ডানপন্থি) অর্থমন্ত্রী বেজলেল স্মোট্রিচ বলেন, ইসরায়েল ‘অবশেষে’ গাজা দখল করবে।
আপনার মতামত লিখুন :