মিয়ানমারে জাতিগত সংখ্যালঘু সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো একটি জান্তা ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) চার শতাধিক লোক (বার্মিজ) সীমান্ত পেরিয়ে থাইল্যান্ডে পালিয়ে গেছে। দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর উদ্ধৃতি দিয়ে ব্যাংকক থেকে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করার পর দেশটিতে গৃহযুদ্ধের সূত্রপাত হয়। দীর্ঘদিন ধরে দেশের সীমান্ত এলাকায় সক্রিয় গণতন্ত্রপন্থী গেরিলা ও জাতিগত সংখ্যালঘু সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সামরিক বাহিনীর এ লড়াই বর্তমানে চলমান রয়েছে।
সীমান্ত ক্রসিং নিয়ন্ত্রণের ওপর বেশিরভাগ লড়াই কেন্দ্রীভূত রয়েছে। যোদ্ধারা সেখানে বাণিজ্য ও চোরাচালানের রুট নিয়ন্ত্রণ করে লাভজনক টোল সংগ্রহ করে থাকে।
থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি ও কারেন ন্যাশনাল ডিফেন্স অর্গানাইজেশন ‘ড্রোন ব্যবহার করে জান্তা সীমান্ত ঘাঁটিতে বুধবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ৪৫ মিনিটে (গ্রিনিচ মান সময় ২১৪৫ টায়) বোমা হামলা চালিয়েছে।’
থাই সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, মিয়ানমার থেকে ৪১৪ জন বাস্তুচ্যুত মানুষ থাইল্যান্ডের তাক প্রদেশের মায়ে লা-এর কাছে পালিয়ে এসেছে। এলাকাটি ব্যাংকক থেকে ২৫০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তাদেরকে কাছের একটি মন্দির ও মঠে রাখা হয়েছে। সীমান্তের টহল জোরদার করা হয়েছে। কয়েক দশক ধরে সক্রিয় থাকা কারেন জাতিগত গোষ্ঠীর সশস্ত্র সংগঠনগুলো থাইল্যান্ড সীমান্ত ক্রসিংয়ের নিয়ন্ত্রণে থাকা জান্তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুসারে, মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধের ফলে দেশটির ৮১ হাজার মানুষ বর্তমানে থাইল্যান্ডে শরণার্থী বা আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে বসবাস করছে।
আপনার মতামত লিখুন :