জাপান থেকে আরও সহজ শর্তে ঋণ, বাজেট সহায়তা ও ঋণ পরিশোধে সময়সীমা বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) টোকিওতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ও জাপানের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের ষষ্ঠ ফরেন অফিস কনসালটেশনস (এফওসি) বৈঠকে এসব বিষয় তুলে ধরা হয়।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জাপান থেকে আরও অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসট্যান্স (ওডিএ) ঋণ, ঋণ পরিশোধে দীর্ঘমেয়াদি সুবিধা এবং বাজেট সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও এর গৃহীত সংস্কার উদ্যোগের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে জাপান। তারা বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছে। রাজনৈতিক আস্থা জোরদার, উন্নয়ন কৌশলকে প্রাধান্য দেওয়া এবং কৌশলগত অংশীদারত্ব অর্জনে উভয় দেশ একমত হয়েছে।
এ ছাড়া এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) থেকে উত্তরণের পরও বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার বজায় রাখার অনুরোধে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে জাপান। ফল ও সবজি রপ্তানিতে একযোগে কাজ করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। রোহিঙ্গা পুনর্বাসন ইস্যুতেও একসঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছে জাপান সরকার।
অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) প্রসঙ্গে উভয় দেশ সন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং চলতি বছরেই চুক্তি স্বাক্ষরের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ‘বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভস’ (বিগ-বি) কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশে উচ্চমানের অবকাঠামো উন্নয়নে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখবে জাপান। একই সঙ্গে জাপানি উদ্যোক্তাদের কারখানা ও সরবরাহ চেইন বাংলাদেশে স্থানান্তরের পরিকল্পনাও জানিয়েছে দেশটি।
বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের আসন্ন জাপান সফর নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে জানানো হয়।
আপনার মতামত লিখুন :