তিন বছর পর একই কক্ষে বৈঠকে বসেছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধি দল। তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত এই শান্তি আলোচনা শুরুর আগেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে দুই দেশের মধ্যে তীব্র মতবিরোধ।
আলোচনার শুরুতে করমর্দনের রেওয়াজ থাকলেও রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা তা এড়িয়ে যান। এতে আরও স্পস্ট হয়েছে দু’দেশের সম্পর্কের টানাপোড়েন। খবর রয়টার্সের।
ইউক্রেন বলছে, তারা যুদ্ধ বন্ধ করতে এখনই একমত হতে চায়। অন্যদিকে রাশিয়া বলছে, তারা যুদ্ধের ‘মূল কারণ’ নিয়ে আলোচনা করতে চায়।
বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়ার এই অবস্থান আসলে ইউক্রেনের স্বাধীন অস্তিত্ব ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নকেই চ্যালেঞ্জ জানায়।
রুশ প্রতিনিধি দলের একজন সদস্য বলেছেন, কিছু বিষয়ে আপস করা যেতে পারে, তবে সেটা কীভাবে হবে, তা পরিষ্কার নয়।
অন্য রুশ প্রতিনিধিরা এখনো ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ না দেওয়া ও পাঁচটি ইউক্রেনীয় অঞ্চল রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রাখার আগের দাবিতেই আছেন। এসব শর্তকে একেবারেই অগ্রহণযোগ্য বলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
এর আগে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে শান্তি আলোচনার অংশ হিসেবে ইস্তাম্বুলের ঐতিহাসিক দোলমাবাহজে প্রাসাদে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে বসে যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেন ও তুরস্ক।
বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে অংশ নেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং ট্রাম্পের ইউক্রেনবিষয়ক বিশেষ দূত জেনারেল কিথ কেলগ।
ইউক্রেনীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা এবং জেলেনস্কির কার্যালয়ের প্রধান আন্দ্রি ইয়ারমাক। বৈঠকের মধ্যস্থতা করেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান।
আপনার মতামত লিখুন :