পাকিস্তানের বেলুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে পৃথক সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে কমপক্ষে ১২ জন ‘ভারতীয় মদতপুষ্ট সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। এ সময় চারজন সেনা সদস্যও প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের মধ্যে একজন লেফটেন্যান্ট রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাতের এসব অভিযানের তথ্য শুক্রবার (৩০ মে) পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আইএসপিআর-এর এক বিবৃতির জানিয়েছেন।
আইএসপিআরের বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৮ মে বেলুচিস্তানের লোরালাই জেলায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। ওই তথ্য অনুযায়ী, সেখানে ‘ফিতনা আল হিন্দুস্তান’ নামের ভারত-সমর্থিত একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অবস্থান ছিল। অভিযানে ১২ জনের মধ্যে কয়েকজন এই গোষ্ঠীর সদস্য বলে দাবি করা হয়।
এ সময় ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়।
আইএসপিআর আরও জানিয়েছে, এসব সন্ত্রাসীরা ২০২৪ সালের ২৬ আগস্ট এবং ২০২৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি বেলুচিস্তানের ন্যাশনাল হাইওয়ে-৭০তে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছিল, এতে প্রায় ৩০ জন নিরীহ মানুষ নিহত হয়। এদিকে বেলুচিস্তানের কেচ জেলাতেও আলাদা আরও একজন ভারত-সমর্থিত সন্ত্রাসীকে হত্যা করা হয়।
আইএসপিআর আরও জানায়, খাইবার পাখতুনখাওয়া ও ‘ফিতনা আল খোয়ারিজ’ উত্তর ওয়াজিরিস্তানের শাওয়াল এলাকায় ২৮ ও ২৯ মে রাতের মধ্যে একটি চেকপোস্টে সন্ত্রাসীরা হামলার চেষ্টা চালালে সেনাবাহিনী তা প্রতিহত করে। এতে ‘ফিতনা আল খোয়ারিজ’ গোষ্ঠীর ছয়জন সন্ত্রাসী নিহত হয়। এছাড়া এই অভিযানে সম্মুখভাগে নেতৃত্ব দেওয়া লেফটেন্যান্ট দানিয়াল ইসমাইল (২৪) নিহত হন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখাওয়া ও বেলুচিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা বাড়ে। তবে ২০২৫ সালের প্রথম দিকে নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
