ভারতে বিমান বিধ্বস্তে শোক জানালেন যারা

আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইট উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিধ্বস্ত হয়েছে। বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনারটি (ফ্লাইট নম্বর AI-171) তে ২৩০ জন যাত্রী এবং ১২ জন ক্রু সদস্যসহ মোট ২৪২ জন আরোহী ছিলেন।

আজ বৃহস্পতিবার (১২ জুন) এই মর্মান্তিক ঘটনার পর ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। 

ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী রাম মোহন নাইডু এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এই দুর্ঘটনায় আমি গভীরভাবে মর্মাহত ও হতবাক। আমি নিজে গোটা পরিস্থিতি নজরদারি করছি এবং সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধারকারী দল ও ফায়ার সার্ভিস মোতায়েন করা হয়। 

গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল জানান, উদ্ধার তৎপরতা চলছে এবং আহতদের দ্রুত চিকিৎসা দিতে ‘গ্রিন করিডোর’ তৈরি করা হচ্ছে। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এনডিআরএফ দল পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনাকে ‘অত্যন্ত মর্মান্তিক’ বলে আখ্যায়িত করে জানান, ‘যাত্রীদের জন্য আমরা প্রার্থনা করছি। বিস্তারিত জানার অপেক্ষায় রয়েছি।’

গুজরাটে বিমান বিধ্বস্ত: লোকালয়ের অনেকেরই প্রাণহানির শঙ্কা

বিস্তারিত পড়ুন

সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব অবিলম্বে ঘটনার ব্যাখ্যা দেওয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, ‘এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার বিষয়ে সরকারকে দ্রুত এবং পরিষ্কার ব্যাখ্যা দিতে হবে যাতে গুজব ছড়িয়ে না পড়ে।’

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, রাজদ নেতা তেজস্বী যাদব এবং আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা প্রমুখ নেতারাও তাদের গভীর উদ্বেগ ও সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন।

পাইলট ক্যাপ্টেন সুমিত সাবরওয়াল ও ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্ডার পরিচালিত বিমানটি রানওয়ে ২৩ থেকে উড্ডয়নের পরই সংকেত পাঠায়, কিন্তু এর কিছুক্ষণ পরই এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।