মোবাইল হাতে ধোঁয়ার ভেতর থেকে হেঁটে বেরিয়ে আসেন রমেশ, ভিডিও প্রকাশ

ভারতের আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়া এআই-১৭১ বিধ্বস্ত হয় গত বৃহস্পতিবার (১২ জুন)। ২৩০ যাত্রী ও ১২ জন ক্রু এর মধ্যে অলৌকিকভাবে বেঁচে যান মাত্র একজন। ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, আগুন আর ধোঁয়ায় ঢাকা ঘটনাস্থল থেকে হেঁটে হেঁটে বেরিয়ে আসছেন রমেশ কুমার বিষ্ণু। 

এয়ার ইন্ডিয়া এআই-১৭১ ফ্লাইটের ১১এ নম্বর আসনে বসা ছিলেন রমেশ কুমার বিষ্ণু। বিমানের জরুরি নির্গমন পথের পাশেই ছিল ওই আসন।

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে কাকে সমর্থন দিচ্ছে ভারত?

বিস্তারিত পড়ুন

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) আহমেদাবাদে বিজে মেডিকেল কলেজের হোস্টেল ভবনে আছড়ে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানটি। এতে ২৪১ জন আরোহীর সবাই নিহত হন। তবে অলৌকিকভাবে বেঁচে যান ৪০ বছর বয়সি ব্রিটিশ-ভারতীয় নাগরিক বিষ্ণু। ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি সাদা টি-শার্ট পরা অবস্থায় বাঁ হাতে একটি মোবাইল ধরে ধোঁয়ার মধ্য দিয়ে হেঁটে আসছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান।

মোবাইল হাতে ধোঁয়ার ভেতর থেকে হেঁটে বেরিয়ে আসেন রমেশ, ভিডিও

ভারতের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম দূরদর্শনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিষ্ণু বলেন, ‘আমি জানি না কীভাবে বেঁচে গেলাম। কিছুক্ষণ মনে হচ্ছিল, আমার মৃত্যু নিশ্চিত। কিন্তু চোখ খোলার পর দেখলাম, আমি জীবিত। সিট বেল্ট খুলে বাইরে বেরিয়ে আসি। বিমানবালা এক নারী ও এক পুরুষ আমার চোখের সামনে মারা যান।’

এবার ভারতে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, পাইলটসহ নিহত ৭

বিস্তারিত পড়ুন

কীভাবে বিমানটি বিধ্বস্ত হয় জানতে চাইলে বিষ্ণু জানান, ‘টেক-অফের এক মিনিটের মাথায় মনে হলো, বিমানটি থেমে গেছে। সবুজ আর সাদা আলো জ্বলছিল। পাইলটরা বিমান ওপরের দিকে তোলার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু সেটা দ্রুতগতিতে সোজা হোস্টেল ভবনে গিয়ে ধাক্কা খায়।’

বিষ্ণু আরও বলেন, ‘আমি নিচতলার দিকে ছিলাম, যেখানে খানিকটা খোলা জায়গা ছিল। ওই দিক দিয়ে বেরিয়ে আসি। তবে অপর পাশেই ছিল ভবনটির দেয়াল—সেখান দিয়ে কেউ বের হতে পারেনি বলে আমার মনে হয়।’

সেই হোস্টেলের ছাদেই মিললো বিধ্বস্ত বিমানের ব্ল্যাকবক্স

বিস্তারিত পড়ুন

এই দুর্ঘটনায় এয়ার ইন্ডিয়ার ১০ জন কেবিন ক্রু, ২ জন পাইলটসহ ২৪১ জন আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন। গুজরাটের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানিও এই দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।

নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করতে ডিএনএ পরীক্ষার কাজ চলছে এবং শনাক্তের পর স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।