মার্কিন হামলায় পারমাণবিক স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে ব্যাপক আলোচনার মধ্যে হোয়াইট হাউসের দাবিতে সায় দিল ইরান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই জানিয়েছেন, ইসরায়েল ও আমেরিকার ‘বারবার হামলার’ ফলে তাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ‘মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে।
বুধবার (২৫ জুন) এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি এই দাবি করেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
এতদিন ইরানের কর্মকর্তারা ও রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে প্রচার করেছিল।
বাঘাই আল-জাজিরাকে বলেন, ‘আমাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এটা নিশ্চিত। কারণ এটি ইসরায়েলি ও আমেরিকান আক্রমণকারীদের দ্বারা বারবার আক্রমণের শিকার হয়েছে।’
তিনি বলেন, দেশটির পারমাণবিক শক্তি সংস্থা ও সংস্থাগুলো ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর প্রযুক্তিগত মূল্যায়নের জন্য কাজ করছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আজ বলেছেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে তার নির্দেশিত হামলা ‘সম্পূর্ণ ধ্বংস’ করেছে। এমনকি সিএনএন প্রতিবেদন করার পরেও প্রাথমিক গোয়েন্দা মূল্যায়নে দেখা গেছে, আক্রমণটি তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে মাত্র কয়েক মাস পিছিয়ে দিয়েছে।
গণমাধ্যমের সমালোচনা করার সময় তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন, এই হামলাগুলো ইরানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে কয়েক দশক পিছিয়ে দিয়েছে।
তবুও মার্কিন প্রেসিডেন্ট স্বীকার করেছেন যে, গোয়েন্দা তথ্য ‘অনির্ধারিত’ ও প্রাথমিক। একইসঙ্গে পরামর্শ দিয়েছেনইসরায়েল শীঘ্রই তাদের নিজস্ব অনুসন্ধানের মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্র প্রকাশ করবে।
জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইএইএ বলেছে, ১২ দিনের সংঘাত ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ‘মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ করেছে।
বাঘাই আল-জাজিরাকে বলেন, ইরানের সংসদ আইএইএ’র সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত করার পক্ষে ভোট দিয়েছে। কিন্তু এনপিটি’তে ইরানের সদস্যপদ স্থগিত করার অনুমোদন দেয়নি, যা পারমাণবিক অস্ত্রের বিশ্বব্যাপী বিস্তার পর্যবেক্ষণ ও প্রতিরোধ করার পাশাপাশি পারমাণবিক প্রযুক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার প্রচারের জন্য তৈরি একটি চুক্তি।
আপনার মতামত লিখুন :