গাজার দেইর আল-বালাহ শহরে ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার চিত্র তুলে ধরেছেন স্বেচ্ছাসেবী চিকিৎসক ডা. বুশরা ওথমান। তিনি জানান, অনেক পরিবার মাঝরাতে সাহায্য বিতরণ কেন্দ্রে ভিড় করে। যা পেলে বাঁচা যায়, সেই আশায়।
আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘মানুষ এতটাই হতাশ যে সেখানে এক ধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন এমন গুলির আঘাত দেখতে পাই যা মাথা, বুক বা পিঠ ভেদ করে। অনেকের মেরুদণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হচ্ছে।’
একটি মর্মান্তিক ঘটনার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘সেদিন মাত্র ১৩ বছরের এক ছেলের মাথায় গুলি লেগেছিল। গুলিটি তার চোখ ফাটিয়ে দেয়, হৃদপিণ্ড ভেদ করে পেট পর্যন্ত পৌঁছায়। সে অপারেশন টেবিলেই মারা যায়। তার বাবার কান্না আমি কখনো ভুলব না।’
ডা. ওথমান আরও বলেন, ‘আমরা এমন আহত মানুষও পাচ্ছি যাদের মুখ দিয়ে গুলি ঢুকে গলার পেছন দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। পেটেও ভয়াবহ ক্ষত। অনেকে আবার ভিড়ের মধ্যে পড়ে যান ট্রাকের নিচে, যার ফলে হাত-পা ছিন্নভিন্ন হয়ে যাচ্ছে।’
এই চিকিৎসক বলেন, ‘তার ওপর এখনো বোমা পড়ছে, কোয়াডকপ্টার থেকে গুলি ছোড়া হচ্ছে, সব মিলিয়ে মানবিক বিপর্যয় আরও গভীর হচ্ছে।’
ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ইসরায়েলি নির্মমতায় আজ বুধবার গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫১ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে গাজা শহরের উত্তর-পশ্চিমে আল-কারামা এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে দুই শিশু নিহত হয়েছে।
ওই এলাকার একটি বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা হামলায় অসংখ্য শিশু আহত হয়েছে, যাদের মধ্যে কয়েকজন গুরুতর বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। স্থানীয় চিকিৎসা সূত্রের তথ্য অনুসারে, আজ আগের হামলায় নিহতের সংখ্যা ৫১ জনে দাঁড়িয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :