টানা ১২ দিন যুদ্ধ। এরপর নাটকীয় যুদ্ধবিরতি। কিন্তু দেখা নেই খামেনির। প্রকাশ্যে না আসায় ওঠে নানা গুঞ্জন। তিনি কি বেঁচে আছেন- এমন আলোচনাও ডালাপালা ছড়াতে থাকে। ঠিক তখনই হাজির হলেন তিনি। শুধু প্রকাশ্যেই আসেননি, দিলেন বক্তব্যও। আবার তার সেই কড়া বক্তব্যে একহাত নিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে। বললেন, ওয়াশিংটনের কাছে নতি স্বীকার করবে না ইরান।
আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির প্রকাশ্যে আসার পরই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ। জানালেন নিজেদের গোয়েন্দা দুর্বলতার কথা। অবশ্য আক্ষেপও ঝেরেছেন তিনি। ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে হত্যা করতে ব্যর্থ হয়েছে ইসরায়েল।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) চ্যানেল ১৩-তে সাক্ষাৎকারে ইসরায়েল কাটজ জানান, খামেনিকে ‘নির্মূল করার ইচ্ছা’ ছিল, কিন্তু সেই সুযোগটি কখনই আসেনি।
তিনি বলেন, ‘যদি খামেনি আমাদের নজরে থাকতেন, তাহলে তাকেও আমরা হত্যা করতাম। আমরা তাকে নির্মূল (হত্যা) করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তেমন কোনো উপযুক্ত পাইনি।’
যুদ্ধ বা হত্যার মতো পদক্ষেপের আগে ইসরায়েল কি যুক্তরাষ্ট্রের অনুমতি নেয়—এমন প্রশ্নে কাটজ সোজাসাপ্টা বলেন, ‘এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের কারও অনুমতির প্রয়োজন হয় না।’
এর আগে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, খামেনির পরিণতি হবে ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের মতো। এমনকি গত ১৭ জুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র জানে যে কোথায় খামেনি ‘লুকিয়ে’ আছেন, কিন্তু ওয়াশিংটন ‘এখনই’ খামেনিকে হত্যার কোনো পরিকল্পনা করছে না।
গত ১৩ জুন ইরানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এরপর ‘দেশটির’ গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ খামেনিকে হত্যার হুমকি দেয়। ইরান ইন্টারন্যাশনাল এক প্রতিবেদনে ১৫ জুন জানায়, হামলা শুরুর কয়েক ঘণ্টা পর সপরিবারে আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ভূগর্ভস্থ সুরক্ষিত বাংকারে আশ্রয় নেন। এরপর থেকে ১৮ জুন একবারই তাকে প্রকাশ্যে দেখা গেছে।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল
আপনার মতামত লিখুন :