ইসরায়েল-ইরানের মধ্যে চলা সংঘাতের মধ্যে আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে বিভিন্নভাবে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলো ইসরায়েল। কিন্তু তাদের কোনো পরিকল্পনায় কাজে আসেনি। সময়মতো ঠিক জায়গায় চল যাওয়াতে প্রাণে বেঁচে যান খামেনি।
সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাটজ জানিয়েছেন, যুদ্ধের মধ্যে তারা খামেনিকে হত্যা করার ব্যাপক চেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু তিনি যে বাঙ্কারে লুকিয়েছিলেন তার খোঁজ না পাওয়ায় সেটা সম্ভব হয়নি।
কাটজ বলেন, সংঘাত চলাকালীন সময় খামেনির সন্ধান পেলেই তাকে হত্যার অপারেশন চালানো হতো। তবে যুদ্ধবিরতির পর এটা এখন আর প্রয়োজন মনে করছি না।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, খামেনিকে হত্যার জন্য এমন একটি হামলা চালাতে কি যুক্তরাষ্ট্রের অনুমতির প্রয়োজন ছিল? কাটজ বলেন, ‘এ ধরনের হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের অনুমতির প্রয়োজন নেই।’
এদিকে ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা এবং ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির পর এই প্রথম ভিডিও বার্তা দিয়েছেন খামেনি। ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভিতে সম্প্রচারিত ওই ভাষণে খামেনি বলেছেন, এই সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র যে পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা করেছে সেগুলোতে উল্লেখযোগ্য কিছুই ঘটেনি।
ইরানি এই নেতা বলেছেন, তার দেশ তাদের ঐক্য প্রদর্শন করেছে, তারা এই বার্তা পাঠিয়েছে যে ‘আমাদের জনগণের কণ্ঠস্বর এক’।
খামেনি বলেছেন, ট্রাম্প তার দেশকে ‘আত্মসমর্পণ’ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের মুখের তুলনায় তা খুব বড় মন্তব্য ছিল।
আপনার মতামত লিখুন :