রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনীয় হামলায় রুশ নৌবাহিনীর উপপ্রধান মেজর জেনারেল মিখাইল গুদকভ নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার এই খবর নিশ্চিত করেছেন রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় প্রিমোরস্কি অঞ্চলের গভর্নর ওলেগ কঝেমিয়াকো।
গুদকভ ২০২২ সালে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর পর নিহত শীর্ষস্থানীয় রুশ সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে একজন।
গুদকভ শুধু রুশ নৌবাহিনীর উপপ্রধানই ছিলেন না, তিনি ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নেওয়া ১৫৫তম ব্রিগেডের কমান্ডার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন। কুরস্ক অঞ্চলে তিনি নিহত হন, যে অঞ্চলে গত বছর ইউক্রেন বড় ধরনের একটি সামরিক অভিযান শুরু করেছিল।
গভর্নর কঝেমিয়াকো এক বিবৃতিতে জানান, তিনি গুদকভকে বীরত্বের পুরস্কার দিয়েছিলেন এবং তাদের মধ্যে বহু বছর ধরে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ ছিল।
গুদকভকে তিনি ‘দৃঢ়চেতা যোদ্ধা’ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, একজন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে সহযোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াই করেই তিনি শহীদ হয়েছেন।
তবে কীভাবে গুদকভের মৃত্যু হয়েছে, সে সম্পর্কে তিনি বিস্তারিত জানাননি।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গুদকভের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে জানিয়েছে, কুরস্ক অঞ্চলে যুদ্ধ চলাকালে তিনি নিহত হন। তবে ইউক্রেন এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
চলতি বছরের মার্চে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মিখাইল গুদকভকে রাশিয়ার নৌবাহিনীর উপকূলীয় ও স্থলবাহিনীর উপপ্রধান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন।
ওই সময় পুতিন বলেছিলেন, মন্ত্রী এবং চিফ অব জেনারেল স্টাফ মনে করেন, আপনার অভিজ্ঞতা অন্য ইউনিটগুলোর মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন। তাই আপনার দায়িত্বের পরিধি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এদিকে, গুদকভ ও তার নেতৃত্বাধীন ১৫৫তম ব্রিগেডের বিরুদ্ধে ইউক্রেন যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ করে আসছিল। কিয়েভের দাবি, যুদ্ধের শুরুতে বুচা, ইরপিন ও গস্তোমেল শহরে বেসামরিক মানুষ হত্যায় এই ইউনিটের সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে।
ইউক্রেনীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী আরও জানিয়েছে যে, গুদকভের বাহিনী যুদ্ধবন্দী ইউক্রেনীয় সেনাদেরও হত্যা করত। যদিও রাশিয়া এসব অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে।
আপনার মতামত লিখুন :