‘ইসরায়েলে’র সঙ্গে টানা ১২ দিনের যুদ্ধ শেষে ইরানে ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি। ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সরকারকে অভ্যুত্থানের মুখোমুখি দাঁড় করানোর ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির বিরুদ্ধে। ইরানি পার্লামেন্টের ৩০ জনের বেশি আইনপ্রণেতা এরই মধ্যে পেজেশকিয়ানকে বরখাস্তের দাবি তুলেছেন।
বিশ্লেষকরা ধারণা করছে, ইসলামিক বিপ্লবের অবসান ঘটাতে পারে যেকোনো সময় এবং ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ষড়যন্ত্রে অভিযুক্তে পেজেশকিয়ানের বিরুদ্ধে ক্ষেপেছে দেশটির কট্টরপন্থি রাজনীতিকেরা।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ও এমপি আবুলফজল জোহরেভান্ড এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘পেজেশকিয়ান প্রশাসন তার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ইসলামিক বিপ্লবের অবসান ঘটাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি এটি হয় , তবে এটি একটি অভ্যুত্থান ছাড়া আর কী হতে পারে?’
এদিকে দেশের অভ্যন্তরীণ বিভেদের ইঙ্গিত দিয়ে পেজেশকিয়ান বলেন, ‘আমাদের মতামত অন্যদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার অধিকার নেই… যারা আমাদের বিরোধিতা করে, তারা আমাদের শত্রু নয়।’
ইরানের সংস্কারপন্থিরা পরিস্থিতিকে ‘জাতীয় ঐক্যের সুযোগ নয়, বরং বিপজ্জনক মেরূকরণ’ হিসেবে দেখছেন।’
সাবেক মুখপাত্র আলী রাবেই এক মতামতে লেখেন, ‘বিস্ফোরণের ধুলো এখনো পুরোপুরি সরেনি, কিন্তু মেরূকরণের শব্দ ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণের চেয়েও জোরালো হচ্ছে।’
পারমাণবিক বিজ্ঞানী এবং সাবেক এমপি আহমেদ শিরজাদ বলেন, ‘জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে আমাদের পুনরায় তাদের কাছে ফিরতে হবে।’