ভারতের বেঙ্গালুরুতে কলেজছাত্রীকে নোট দেওয়া ও পড়াশোনা-সংক্রান্ত আলাপের অজুহাতে বন্ধুত্ব গড়ে তুলেছিলেন শিক্ষক নরেন্দ্র। এর মধ্যেই একদিন ওই ছাত্রীকে বন্ধু অনুপের বাড়িতে নিয়ে যান নরেন্দ্র। একপর্যায়ে তাকে ধর্ষণ করা হয় এবং বলা হয়, ঘটনাটি কাউকে জানালে ভয়াবহ পরিণতি বরণ করতে হবে।
এর কয়েকদিন পর আরেক শিক্ষক সন্দ্বীপ ওই ছাত্রীর কাছে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। বাধা দিলে আগের ধর্ষণের ছবি ও ভিডিও প্রকাশের হুমকি দিয়ে সন্দ্বীপও অনুপের বাড়িতে তাকে ধর্ষণ করেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, এরই মধ্যে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে স্থানীয় পুলিশ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, একটি বেসরকারি কলেজে আসামি নরেন্দ্র পদার্থবিদ্যা এবং সন্দ্বীপ জীববিজ্ঞান পড়ান। আর তাদের বন্ধু অনুপ একই কলেজে কাজ করেন। ওই কলেজেই পড়াশোনা করেন ভুক্তভোগী ছাত্রী।
এমন ভয়াবহ ব্ল্যাকমেইলের শিকার ওই ছাত্রী পরবর্তী সময়ে তার বাবা-মাকে ঘটনাটি জানান। এরপর তারা তাকে কর্ণাটক রাজ্যের নারী কমিশনে নিয়ে যান এবং মারাঠাহাল্লি থানায় মামলা করেন। পরে ওই তিন শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ।