এবার ইউনেস্কো থেকে সদস্যপদ প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্ট ও বিভাজনমূলক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক এজেন্ডা প্রচারের অভিযোগে মঙ্গলবার (২১ জুলাই) সংস্থাটি থেকে নিজেদের প্রত্যাহারের কথা জানান দেশটির স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস।
তার মতে, ফিলিস্তিনকে সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে ইউনেস্কোর গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত অত্যন্ত সমস্যা সৃষ্টিকারী। এটি যুক্তরাষ্ট্রের নীতির পরিপন্থী ও সংস্থাটির মধ্যে ‘ইসরায়েল’বিরোধী বক্তব্যের বিস্তার ঘটিয়েছে।
এ পদক্ষেপটি অনেকটা প্রত্যাশিতই ছিল। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে ২০১৭ সালে ইউনেসকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আমলে পুনরায় সদস্যপদ ফিরে পায় যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের অভিযোগ, ইউনেসকো জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য নিয়ে অতিরিক্ত মনোযোগী। একে ‘বিশ্বায়নবাদী, মতাদর্শিক এজেন্ডা বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র ।
এর আগেও কয়েকবার ইউনেস্কো থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয় যুক্তরাষ্ট। সংস্থাটিকে দুর্নীতিগ্রস্ত ও সোভিয়েতপন্থী বলে আখ্যা দিয়ে ১৯৮৩ সালে প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগান ইউনেসকো থেকে ওয়াশিংটনকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। পরে জর্জ ডব্লিউ বুশের সময় যুক্তরাষ্ট্র আবার সংস্থাটিতে ফিরে আসে।
জাতিসংঘের এ সংস্থাটি শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক সহযোগিতা ও সাংস্কৃতিক বোঝাপড়ার প্রচারে নিজের লক্ষ্য হিসেবে বর্ণনা করে। এটি বাংলাদেশের সুন্দরবন, অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ, আফ্রিকার সেরেঙ্গেটি, এথেন্সের অ্যাক্রোপলিস ও মিসরের পিরামিডসহ অসংখ্য স্থাপনা সংরক্ষণের লক্ষ্যে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের তালিকায় এগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :