যশোরে মুরগি বিক্রির টাকা চাওয়ায় আবু বক্কার কবিরাজ (৫৩) নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার সদর উপজেলার দেয়াড়া মডেল ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবু বক্কার ওই গ্রামের মৃত হোসেন আলী কবিরাজের ছেলে। ঘটনার পর হত্যাকা-ে অভিযুক্ত নির্মল কুমার ও তার স্ত্রী সরস্বতী বিশ্বাস পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে তাদের আটক করে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।
নিহতের স্বজন মিলন হোসেন জানান, আবু বক্কার রং মিস্ত্রির কাজ করতেন। বেশ কিছু দিন ধরে তিনি নিজ বাড়িতে পোল্ট্রি মুরগির ব্যবসা শুরু করেন। সম্প্রতি ফরিদপুর গ্রামের মৃত ভজনের ছেলে নির্মল তার কাছ থেকে ৩৫০ টাকা বাকিতে একটি মুরগি কেনেন। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আবু বক্কার বাকি টাকা চাইতে নির্মলের বাড়িত যান। এ সময় উভয়ের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এতে নির্মল ও তার স্ত্রী ক্ষিপ্ত হয়ে বাঁশের লাঠি দিয়ে আবু বক্কারকে বেধড়ক পেটায়। পরে খবর শুনে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
যশোর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাকিরুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই আবু বক্কার মারা যান। পরে পুলিশকে জানিয়ে মরদেহ মর্গে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে, আবু বক্কারকে পিটিয়ে হত্যা ঘটনার সঙ্গে জড়িত নির্মল ও তার স্ত্রীকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি আবুল হাসনাত বলেন, পাওনা টাকা সংক্রান্ত বিষয় একটি হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর অভিযুক্ত স্বামী-স্ত্রী পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে এলাকার লোকজন তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। আটক দম্পতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আবুল হাসনাত জানান, আটক দম্পতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :