যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিলিপাইনের সঙ্গে নতুন বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা দিয়েছেন। নতুন এই চুক্তিতে মার্কিন পণ্য ফিলিপাইনে শূন্য শুল্কে প্রবেশের সুযোগ পেলেও, ফিলিপাইনকে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানিতে ১৯ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে। এই শর্তই চুক্তিটিকে বৈষম্যমূলক বলে সমালোচনা করছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিশ্লেষকেরা।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২২ জুলাই) নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ ট্রাম্প এ ঘোষণা দেন। এর আগে হোয়াইট হাউসে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ ‘বংবং’ মার্কোস জুনিয়র-এর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন তিনি।
চুক্তির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিপাইনের পণ্যে শুল্ক ১ শতাংশ কমিয়ে ১৯ শতাংশ নির্ধারণ করা হলেও, বাস্তবে তা এপ্রিলের তুলনায় ২ শতাংশ বেশি। তখন ১৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প চলতি মাসের শুরুতে ২০ শতাংশ শুল্কের হুমকি দিয়েছিলেন।
ফিলিপাইনের পাশাপাশি ইন্দোনেশিয়ার পণ্যেও একই হারে ১৯ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিপাইনের মধ্যে মোট ২৩.৫ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়। এতে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি ছিল প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার। ট্রাম্প প্রশাসনের লক্ষ্য ঘাটতি কমানো হলেও, সমালোচকরা বলছেন-একতরফা শর্ত ফিলিপাইনের অর্থনীতির জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে।
ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট মার্কোস জানিয়েছেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সামরিক ক্ষেত্রেও কাজ করবেন, তবে কী ধরনের সহযোগিতা হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।
ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কোনো দেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে মার্কোসই প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করলেন।
সূত্র: আলজাজিরা
আপনার মতামত লিখুন :