বুধবার, ২৩ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ২৩, ২০২৫, ১২:৪৫ পিএম

গাজায় খাদ্যসংকটে সাংবাদিকরা, কর্মীদের সরিয়ে নিতে চায় এএফপি

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ২৩, ২০২৫, ১২:৪৫ পিএম

তীব্র খাদ্যসংকটে গাজাবাসী। ছবি- সংগৃহীত

তীব্র খাদ্যসংকটে গাজাবাসী। ছবি- সংগৃহীত

অবরুদ্ধ গাজায় জীবন ঝুঁকির মুখে পড়েছে উল্লেখ করে নিজেদের ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকদের অবিলম্বে সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বুধবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এই সংবাদ সংস্থা মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানায়, ‘গত কয়েক মাস ধরে আমরা দেখছি কীভাবে আমাদের সহকর্মীদের জীবন ভয়াবহতার মুখে পড়েছে। এখন তাদের অবস্থা আর সহ্য করার মতো নয়।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “তাদের সাহস ও পেশাগত অঙ্গীকার সত্ত্বেও তারা এখন একটি অমানবিক বাস্তবতার সম্মুখীন। ‘ইসরায়েলি’ কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই তাদের সরিয়ে নেওয়ার অনুমতি দিতে হবে, কারণ তাদের জীবন এখন সরাসরি হুমকির মুখে।”

এর আগে সোমবার এএফপির সাংবাদিকদের সংগঠন সোসাইটি অব জার্নালিস্টস জানায়, গাজার সাংবাদিকরা ক্ষুধায় মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছেন।

তারা বলছেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত শঙ্কায় আছি যে, সহকর্মীদের মৃত্যুর খবর যেকোনো মুহূর্তে আসতে পারে। এটি আমাদের জন্য অসহনীয়। এখন গাজা উপত্যকায় যা ঘটছে, তারা এসবের প্রায় একমাত্র প্রত্যক্ষ বার্তাবাহক। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম গত দুই বছর ধরে সেখানে প্রবেশ করতে পারছে না। আমরা চুপ করে বসে থেকে তাদের মৃত্যু দেখতে রাজি নই।’

সংগঠনটি ৩০ বছর বয়সি আলোকচিত্রী বাশারের প্রসঙ্গ তুলে জানায়, ‘তিনি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন,  অত্যন্ত দুর্বল হয়ে গেছে, কাজ করার শক্তিও অবশিষ্ট নেই।’

তারা আরও উল্লেখ করে, ‘১৯৪৪ সালে এএফপি প্রতিষ্ঠার পর আমরা অনেক সহকর্মীকে যুদ্ধে হারিয়েছি, আহত বা বন্দি হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। কিন্তু কেউ কখনো সহকর্মীকে ক্ষুধার যন্ত্রণায় মরতে দেখেনি।’

এদিকে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ১৫ জন ফিলিস্তিনি খাদ্যসংকটে মারা গেছে, যার মধ্যে চারজন শিশুও রয়েছে।

মন্ত্রণালয় আরও জানায়, ২০২৩ সালের অক্টোবরে ‘ইসরায়েল’ গাজায় তাদের সামরিক অভিযান শুরু করার পর থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১০১ জন অপুষ্টি ও অনাহারে মারা গেছে। এর মধ্যে ৮০ জনই শিশু। আর অধিকাংশ মৃত্যুই হয়েছে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে।

‘ইসরায়েল’ গত মার্চ মাসে গাজায় সব ধরনের পণ্য প্রবেশ বন্ধ করে দিলে খাদ্য মজুত ফুরিয়ে যায়। পরে মে মাসে সীমিত আকারে সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়, যা মূলত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) নামে একটি মার্কিন-‘ইসরায়েল’ সমর্থিত সংস্থার মাধ্যমে বিতরণ হয়। এতে জাতিসংঘের কোনো ভূমিকা রাখার সুযোগ দেওয়া হয়নি।

কিন্তু এই সহায়তা বিতরণ কেন্দ্রগুলোর কাছাকাছি জায়গায় সহায়তা নিতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন এক হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।

Shera Lather
Link copied!