বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ২৩, ২০২৫, ০৭:৫৬ পিএম

জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ঐতিহাসিক রায় দিলেন আন্তর্জাতিক আদালত

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ২৩, ২০২৫, ০৭:৫৬ পিএম

দ্বীপরাষ্ট্র ভানুয়াতু। ছবি- সংগৃহীত

দ্বীপরাষ্ট্র ভানুয়াতু। ছবি- সংগৃহীত

বিশ্বের শীর্ষ আদালত আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে একটি ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে। শুনানিতে তারা জলবায়ু পরিবর্তনকে ‘জরুরি ও অস্তিত্বের হুমকি’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। খবর আল-জাজিরা

বুধবার (২৩ জুলাই) নেদারল্যান্ডসের হেগে আইসিজে জানায়, গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন মানবসৃষ্ট কর্মকাণ্ডের ফল এবং এটি এক দেশের সীমা ছাড়িয়ে অন্যান্য দেশেও প্রভাব ফেলছে।

সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ার ফলে সম্পূর্ণ বিলীন হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা ছোট দ্বীপরাষ্ট্রগুলো দীর্ঘদিন ধরেই এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক আইনি মতামতের জন্য প্রচার চালিয়ে আসছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ২০২৩ সালে আইসিজের কাছে এ বিষয়ে একটি উপদেষ্টা মতামত চায়।

যদিও এটি আইনত বাধ্যতামূলক নয়, তবে ভবিষ্যতের আন্তর্জাতিক নীতিনির্ধারণে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র ভানুয়াতুসহ আরও অনেক ছোট রাষ্ট্র জলবায়ু সংকটে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের পক্ষে সোচ্চার ভূমিকা রেখে চলেছে।

২৩ জুলাই হেগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের বাইরে পরিবেশ কর্মীরা বিক্ষোভ করছেন। ছবি- এপি

ভানুয়াতুর জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী রাল্ফ রেগেনভানু বলেছেন, জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক আদালতের (আইসিজে) রায় ‘গেম-চেঞ্জার’ বা যুগান্তকারী হতে পারে।

তিনি এএফপিকে বলেন, ‘আমরা এই লড়াই করছি প্রায় ৩০ বছর ধরে... এই রায় আখ্যান বদলে দেবে, আর এটাই এখন আমাদের সবচেয়ে দরকার।’

জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আদালত আইসিজের ১৫ জন বিচারককে দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আইসিজে বিভিন্ন দেশের মধ্যে আইনি বিরোধ নিষ্পত্তি করে থাকে।

প্রথম প্রশ্ন হলো- বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের পরিবেশ রক্ষায়, গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমাতে আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে রাষ্ট্রগুলোর কী করণীয়?

দ্বিতীয় প্রশ্ন হলো- যেসব দেশের নিঃসরণে পরিবেশগত ক্ষতি হয়েছে, বিশেষ করে জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা ছোট দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর ক্ষেত্রে তাদের ক্ষতিপূরণ বা দায়ভার কীভাবে নির্ধারিত হবে?

এ পর্যন্ত আইসিজের সবচেয়ে বড় এই মামলায় বিচারকরা হাজার হাজার পৃষ্ঠার লিখিত আবেদন খতিয়ে দেখেছেন। টানা দুই সপ্তাহ ধরে মৌখিক শুনানি নিয়েছেন। তারা পরিবেশ আইন সম্পর্কিত বিভিন্ন ধারা ও বিধানকে একটি নির্দিষ্ট আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে একত্রিত করার চেষ্টা করছেন।

তারা গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন ঠেকাতে আরও শক্তিশালী পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে, যার কিছু পদক্ষেপ আইনগতভাবেও বাধ্যতামূলক। সেইসঙ্গে, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী বড় নির্গমনকারী দেশগুলোকে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

রায় ঘোষণার আগে, জলবায়ু আন্দোলনের কর্মীরা আদালতের বাইরে জড়ো হয়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন, ‘আমরা কী চাই? জলবায়ু ন্যায়বিচার। আমরা কখন চাই? এখনই।’

Shera Lather
Link copied!