বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


চাঁদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ২৩, ২০২৫, ০৯:৪৯ পিএম

মাহরিন চৌধুরীকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিতে না পারা আমাদের ব্যর্থতা: হাসনাত

চাঁদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ২৩, ২০২৫, ০৯:৪৯ পিএম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি- সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি- সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মাহরীন চৌধুরী ২০ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে নিজের জীবন দিয়েছেন। অথচ আমরা তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিতে পারিনি এটা আমাদের বড় ব্যর্থতা।

বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে চাঁদপুর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এনসিপির দেশব্যাপী ‘দেশ গড়তে জুলাই পথযাত্রা’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, এই দেশে বাহিনী ছাড়া সাধারণ নাগরিকরা কখনো হিরো হতে পারে না, এটাই বাস্তবতা। বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের দায়ভার অবশ্যই সংশ্লিষ্ট বাহিনীকে নিতে হবে। অথচ আমরা দেখেছি, ঘটনার পর ওই কলেজে শিক্ষার্থীদের পিটিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। প্রশাসন যথাযথ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

আওয়ামী লীগ সরকারকে ফ্যাসিবাদী আখ্যা দিয়ে হাসনাত বলেন, আপনারা দেখেছেন, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ লাশের ওপর রাজনীতি করার চেষ্টা করেছে। আওয়ামী লীগের অধ্যায় শেষ। তারা যদি আবার ক্ষমতায় ফেরার চেষ্টা করে, এই শোকই শক্তিতে পরিণত হয়ে তাদের ভবিষ্যতের পথ রুদ্ধ করবে।

তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে গুম-খুন থাকবে না, চিকিৎসা হবে সবার অধিকার, স্কুলের ওপর বিমান পড়বে না, শিশুরা নিরাপদে পড়ালেখা করতে পারবে।’

এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, ‘চাঁদপুরে আমার জন্ম, এখানকার মাটিতেই আমি মিশে যেতে চাই। আমরা কাউকে ভয় পাই না। চাঁদপুরে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও বালুখেকোদের কোনো প্রকার প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘বৈধতা না থাকা সত্ত্বেও বালু উত্তোলনের কারণে বহু গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। মানুষ বসতভিটা হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়ে গেছে। চাঁদপুরবাসীর প্রতি আমার অনুরোধ, দয়া করে এই ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম বন্ধ করুন।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেন, ‘৫ আগস্টের পর ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনাগুলোর পেছনে দায়ী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়াগুলো তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। বাংলাদেশে ধ্বংসের পর আর চুরি দেখতে চাই না।’

তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসররা যেন এই সুযোগে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরা বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ যে নামেই থাকি না কেন, ফ্যাসিস্ট শক্তিকে প্রতিহত করতেই হবে।’

সংগঠনের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা সারমিন বলেন, ‘বিমান দুর্ঘটনার পরবর্তী সময়ের ঘটনাগুলো স্বাভাবিক নয়। আমরা সবাই শোকবিহ্বল। জুলাই পদযাত্রা আজ শোক পদযাত্রায় পরিণত হয়েছে।’

তিনি চাঁদপুরবাসীর উদ্দেশে বলেন, এই মাটিতে কতজন শহীদ হয়েছেন, তাঁদের মায়েদের আর্তনাদ কি আপনারা শুনতে পান না? শহীদদের রক্তের মর্যাদা আর কতকাল ভূলুণ্ঠিত থাকবে?

তিনি আরও বলেন, এই অন্তর্বর্তী সরকার ২ হাজার শহীদের কোনো দায়িত্ব নেয়নি। এখন তারা আবার মাইলস্টোন কলেজের নিহত ও আহত শিক্ষার্থীদের জন্য জনগণের কাছ থেকে সাহায্য চাইছে, এটা বিস্ময়কর।

অনুষ্ঠান শেষে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের রুহের মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন এনসিপির জেলা কমিটির সদস্য মুফতি মাহমুদুল হাসান।

এর আগে চাঁদপুর সার্কিট হাউস থেকে একটি শোকর‌্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছে। সার্কিট হাউস সভাকক্ষে জুলাই আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

পরে হাজীগঞ্জ উপজেলার চৌরাস্তা বিশ্বরোড এলাকায় ‘শহীদ আজাদ সরকার চত্বর’ উদ্বোধন করেন নেতারা। সর্বশেষ শাহরাস্তি উপজেলার দোয়াভাঙ্গা এলাকায় এক পথসভায় বক্তব্য দেন নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী। অনুষ্ঠান শেষে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা সড়কপথে কুমিল্লার উদ্দেশ্যে চাঁদপুর ত্যাগ করেন।

Shera Lather
Link copied!