বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ২৩, ২০২৫, ০৮:৪৩ পিএম

চুরি করা মোটরসাইকেল চেনার সহজ ৮ উপায়

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ২৩, ২০২৫, ০৮:৪৩ পিএম

সড়কে মোটরসাইকেল আরোহী। ছবি- সংগৃহীত

সড়কে মোটরসাইকেল আরোহী। ছবি- সংগৃহীত

বর্তমানে দেশে নতুন ও পুরোনো গাড়ি-বাইকের কেনাবেচা ব্যাপকহারে হচ্ছে। বিশেষ করে অনলাইন মার্কেটপ্লেস, সোশ্যাল মিডিয়া বা পরিচিত সূত্রে সেকেন্ডহ্যান্ড গাড়ি ও মোটরসাইকেল কেনার প্রবণতা বেড়েছে। তবে এই সুযোগে সক্রিয় হয়ে উঠেছে একটি চক্র, যারা চোরাই যানবাহন বিক্রি করে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করছে।

শুধু আর্থিক ক্ষতিই নয়, আপনি যদি ভুলবশত চোরাই গাড়ি বা বাইক কিনে ফেলেন, তাহলে আইনি ঝামেলায়ও পড়তে পারেন। তাই জেনে নিন কিছু কার্যকর পদ্ধতি, যার মাধ্যমে আপনি চেনাতে পারবেন আপনার কেনার উদ্দেশ্য থাকা গাড়িটি চোরাই কি না।

১. যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন নম্বর যাচাই করুন

যেকোনো বৈধ গাড়িরই বিআরটিএ (BRTA)-এর রেজিস্ট্রেশন নম্বর থাকবে।

যাচাই করতে ভিজিট করুন: https://brta.portal.gov.bd অথবা BRTA অ্যাপ

নম্বর দিয়ে গাড়ির মালিক, মডেল, রং, ইঞ্জিন নম্বর ইত্যাদি তথ্য দেখুন।

রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং বিক্রেতার দেওয়া তথ্য যদি মেলে না, তবে সন্দেহের যথেষ্ট কারণ রয়েছে।

২. ইঞ্জিন ও চেসিস নম্বর মিলিয়ে দেখুন

প্রতিটি গাড়ি ও মোটরসাইকেলের নিজস্ব ইঞ্জিন নম্বর ও চেসিস নম্বর থাকে, যেগুলো গাড়ির গায়ে এমবসড বা খোদাই করে দেওয়া থাকে।

এই নম্বরগুলো বিক্রেতার দেওয়া কাগজপত্রের (রেজিস্ট্রেশন কার্ড/বিল/ট্যাক্স টোকেন) সঙ্গে মিলিয়ে দেখুন।

যদি নম্বর ঘষা বা পরিবর্তনের চিহ্ন দেখা যায়—বুঝবেন ঝামেলা আছে।

৩. IMEI-এর মতো বাইকের/গাড়ির তথ্য চেক করুন (NEIR/BRTA/Manufacturer)

নতুন কিছু গাড়ি বা বাইকে ট্র্যাকিং ডিভাইস থাকে, সেগুলোর সিরিয়াল ও তথ্য টেলিকম/নেটওয়ার্ক বা নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সার্ভারে থাকে।

এসবের অনলাইন চেক অপশন থাকলে ব্যবহার করুন।

৪. বিক্রেতার কাছ থেকে সম্পূর্ণ কাগজপত্র চেয়ে নিন

একটি বৈধ যানবাহনের সঙ্গে যা যা কাগজ থাকা বাধ্যতামূলক: রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট (Blue Book), ফিটনেস সার্টিফিকেট (যদি প্রযোজ্য হয়), ট্যাক্স টোকেন ও ইনস্যুরেন্স, বিক্রয় রশিদ বা Declaration Letter, মালিকানা হস্তান্তরের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, কোনো একটি না থাকলেও সাবধান হন।

৫. মূল মালিকের সাথে যোগাযোগ করুন (যদি সম্ভব হয়)

পুরোনো গাড়ি বা বাইক কিনছেন? বিক্রেতার দাবি অনুযায়ী মূল মালিকের নাম যাচাই করে সেই নম্বরে কল করে যাচাই করতে পারেন। অনেকে চোরাই গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ও মালিকের তথ্য জাল করে বিক্রি করে থাকে।

৬. দাম অস্বাভাবিক কম হলে সতর্ক হোন

বাজারদরের চেয়ে অনেক কম দামে গাড়ি বা বাইক বিক্রি করা হলে সেটা চোরাই হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। চোরাচালানকারীরা দ্রুত বিক্রির জন্য দামে ছাড় দেয়।

৭. পুলিশ ভেরিফিকেশন চাইতে পারেন

কোনো সন্দেহ হলে আপনি থানায় গিয়ে গাড়ির ইঞ্জিন ও চেসিস নম্বর দিয়ে যাচাই করে দেখতে পারেন এটি পুলিশ রেকর্ডে চুরি হয়েছে কি না। অনেক সময় পুলিশের অনুরোধে এই চোরাই যানবাহন গোপনে ট্র্যাক করা হয়।

৮. গাড়ি বা বাইকটি কার দোকানে সার্ভিসিং করানো হয়েছে জিজ্ঞেস করুন।

পুরোনো গাড়ি কিনলে বিক্রেতা যদি বলে এটি নিয়মিত সার্ভিসিং হয়েছে, তাহলে সেই ওয়ার্কশপে যোগাযোগ করে যাচাই করুন। প্রকৃত মালিকানা নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকলে এখানে ধরা পড়ে যেতে পারে।

Shera Lather
Link copied!