গাজায় নতুন করে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি আলোচনার মধ্যে উপত্যকাটিতে গণহত্যা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে হামাস। যুদ্ধবিরতি নিয়ে এখনো কোন প্রতিক্রিয়া জানায়নি ইসরায়েল। মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদেলাত্তির মতে হামাস রাজি হওয়ার পর , যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব এখন নেতানিয়াহুর হাতে। ফলে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হতে ইসরায়েলের ওপর চাপ তৈরির কথা বলছে কায়রো।
এদিকে সবশেষ ২৪ ঘন্টায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৫১ ফিলিস্তিনি নিহতের খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই। এ নিয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি নৃশংসতায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬২ হাজার, যার মধ্যে ১৮ হাজার ৮৮৫ জন শিশু বলে জানায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ’র দাবি, গাজায় শরণার্থী শিবির হিসেবে ব্যবহৃত জাতিসংঘের বিদ্যালয়গুলো ইসরায়েলি হামলার কারণে মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে। সমগ্র গাজায় এখন আর কোন নিরাপদ জায়গা নেই বলে জানায় সংস্থাটি।
এছাড়া, খাবারের অভাবে ত্রাণকেন্দ্রে ভিড় করা কমপক্ষে ২ হাজার অনাহারী মানুষকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের এহেন হীন কর্মকাণ্ডকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছে মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, হামাসের দেওয়া যুদ্ধবিরতির শর্ত সূক্ষভাবে বিশ্লেষণ করছে হোয়াইট হাউজ। এদিকে, মধ্যপ্রাচ্য বিশ্লেষক মুইন রাব্বানি জানিয়েছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত ইসরায়েলের ওপর নয়, মূলত নির্ভর করছে যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের ওপর।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন