রবিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


হাসান আরিফ

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২৫, ০২:২৮ এএম

ভূমিকম্পের ঝুঁকি প্রতিরোধ আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্প

হাসান আরিফ

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২৫, ০২:২৮ এএম

ভূমিকম্পের ঝুঁকি প্রতিরোধ  আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্প

সরকারের উদাসীনতা এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অসহযোগিতার কারণে থমকে আছে ভূমিকম্পের ঝুঁকি প্রতিরোধে নেওয়া ‘আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্প’। এরই মধ্যে গত শুক্রবার সকালে শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। যাকে বলা হচ্ছে দেশের এযাবতকালের সবচেয়ে তীব্র ভূমিকম্পগুলোর একটি। এরপর গতকাল শনিবার সকালে একবার এবং সন্ধ্যায় দুইবার, সবমিলিয়ে সাড়ে ৩১ ঘণ্টায় তিনবার কম্পন অনুভূত হওয়ায় ভূমিকম্পের রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত ঢাকা কার্যত আরও অনিরাপদ হয়ে উঠেছে। জনমনে দেখা দিয়েছে তীব্র আতঙ্ক।

বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরে সতর্ক করে আসলেও বৃহত্তর ঢাকার চিহ্নিত অতিঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো নিয়ে সরকারের উদাসীনতা অব্যাহত রয়েছে। এসব ভবনের মধ্যে রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও ব্যক্তিমালিকানাধীন বহু স্থাপনা। যার মধ্যে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রধান হাসপাতালও রয়েছে। যেগুলো ধসে পড়লে প্রাণ হারাতে পারেন লাখো মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে ৫৬৮ কোটি টাকার আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্পটি দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে তাদের আশঙ্কা, সময় ও সুযোগ দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে।

আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্পের অধীনে পরিচালিত র‌্যাপিড ভিজুয়্যাল অ্যাসেসমেন্টে তিন হাজার ২৫২টি প্রতিষ্ঠানে জরিপ চালানো হয়। বৃহত্তম ঢাকার এক হাজার ৫২৮ কিলোমিটার এলাকার এই জরিপের অধীনে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতাল ছিল। সেখানে দেখা গেছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হল, লেদার টেকনোলজি কলেজ, বাংলাদেশ মেডিকেল ইউনিভার্সিটির (সাবেক পিজি হাসপাতাল) এ ও বি ব্লক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটা প্রশাসনিক ভবন চরম ঝুঁকিতে রয়েছে।

এ জরিপে ছয়টি বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। অপর পাঁচটির মধ্যে রয়েছে, ভূমিকম্পে কোথায় ভবন তৈরি করা যাবে আর কোথায় তৈরি করা যাবে না। ইলেকট্রনিক নির্মাণ অনুমতি ব্যবস্থা (ইসিপিএস), এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে ভূমিকম্পের ঝুঁকি কমাবে। বিল্ডিং কোড (বিএমবিসি) পরিপালন ও বাস্তবায়ন কৌশল নির্ধারণ, ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইঞ্জিনিয়ারিং। এর মাধ্যমে বারোশ জন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারকে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। যাতে তারা ভূমিকম্পের ঝুঁকি মোকাবলা সক্ষম ভবন তৈরি করতে পারে এবং প্রকল্পের কাজ প্রাতিষ্ঠানিকভাবে চলমান রাখার জন্য ‘আরবান সেফটি রেজিলিয়েন্স ইনিস্টিটিউট বাংলাদেশ’ গঠন, যা বর্তমানে বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াধীন।

রাজউকের চিফ ইঞ্জিনিয়ার (পিএলআর) ও আরবান রেজিলিয়ান্সের সাবেক প্রকল্প পরিচালক ড. আবদুল লতিফ হেলালী রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘তাদের প্রকল্পের সুপারিশে ছিল, হাসপাতাল আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগে সংস্কার করতে হবে। কারণ ভূমিকম্পে আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিতে হবে। আর আশ্রয়হীনদের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্রে পরিণত করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘টাঙ্গাইলের মধুপুর ফল্টে ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হলে শুধু ঢাকা শহরের ৪০ শতাংশ ভবন ভেঙে যাবে। এই শতাংশের সংখ্যা হতে পারে ৮ লাখ ৬৪ হাজার। তবে এই সংখ্যার মধ্যে সুউচ্চ অট্টালিকা থেকে শুরু করে অর্ধপাকা স্থাপনাকে গণনা করা হয়েছে। এই ধ্বংসযজ্ঞের ফলে আনুমানিক ২ দশমিক ১০ লাখ থেকে ৩ দশমিক ১০ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করতে পারেন। আর আহতের সংখ্যা হতে পারে ৩ দশমিক ৫ লাখ থেকে ৪ দশমিক ৬ লাখ পর্যন্ত।’

৮২ জন দক্ষ জনবল অলস, ৬০ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি ব্যবহারহীন, কোথায় আটকে গেল প্রকল্প?

রাজউকের সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের জুলাইয়ে শুরু হওয়া আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্পটি বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত হয়। ভূমিকম্প প্রকৌশল, নকশা যাচাই, ফাউন্ডেশন পরীক্ষা, নির্মাণসামগ্রী পরীক্ষা, রেট্রোফিটিং, অগ্নিনিরাপত্তা পরিকল্পনা থেকে শুরু করে প্রশিক্ষিত জনবল তৈরি ছিল প্রকল্পের লক্ষ্য। এই প্রকল্পের কাজ ছিল বৃহৎ পরিসরে। ২০২৩ সালের ৩০ জুন মাসে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু প্রকল্পটি শেষ হলেও এর ভবিষ্যৎ, বিশেষ করে দক্ষ জনবল ও যন্ত্রপাতির ব্যবহার সম্পর্কে কোনো পরিকল্পনা নেওয়া হয়নি। বিধান অনুযায়ী, প্রকল্প শেষ হওয়ার ছয় মাস আগেই জনবলের ভবিষ্যৎ ঠিক করার কথা থাকলেও তা হয়নি। ফলে ৮২ দক্ষ জনবল কোনো কাজে লাগেনি।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, প্রকল্পের অংশ হিসেবে ২০০ কিলোনিউটন ক্ষমতার দুটি ট্রাক-মাউন্ডেড সিপিটি মেশিন, একটি বড় ক্ষমতার কংক্রিট কাটার ক্রেন, ৪০ টনের ওভারহেড ক্রেন, ৫ টন ক্ষমতার ফর্ক লিফটসহ মোট ১৫০টির বেশি আধুনিক যন্ত্রপাতি কেনা হয়। এগুলোর বেশির ভাগই রাজউকের গুলশান কার্যালয়ে ব্যবহারহীন অবস্থায় পড়ে আছে।

সূত্র জানায়, প্রকল্পের জনবল নিয়ে আগে সিদ্ধান্ত হয়নি, তাই কিছু জটিলতা দেখা দিয়েছে। এখন বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞ এবং প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, এই ‘চেষ্টা’ যথেষ্ট দ্রুত হচ্ছে না। প্রকল্প-আউটপুট প্রক্রিয়াজাত না হওয়ায় অমূল্য তথ্য-উপাত্ত ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

স্বাধীন প্রতিষ্ঠান গঠনের সিদ্ধান্ত আটকে পূর্ত মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ স্ট্রাকচারাল রিস্ক অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স ইনিস্টিটিউট গঠন ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল তৎকালীন গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এক সভায় সিদ্ধান্ত হয়, প্রকল্প শেষে একটি স্বতন্ত্র, স্ব-উপার্জিত বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান তৈরি করা হবে। পরবর্তীতে পূর্ত মন্ত্রণালয়ের সভায় নীতিগত সিদ্ধান্তও হয়Ñ প্রধানমন্ত্রীর কাছে সার-সংক্ষেপ পাঠানো হবে। কিন্তু সেই সার-সংক্ষেপ আজও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়নি। সেই সরকার বিদায় হয়ে বর্তমানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্বে আছে। অর্থাৎ সিদ্ধান্ত কাগজে থাকলেও বাস্তবায়ন আটকে আছে প্রশাসনিক জটিলতায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বাধীন প্রতিষ্ঠান না হলে দেশের ঝুঁঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর নকশা যাচাই, মাটি পরীক্ষা, ভূমিকম্প সহনশীল ডিজাইন বা রেট্রোফিটিংÑ এক ছাতার নিচে আনা সম্ভব নয়। রাজউকের আওতা যেহেতু শুধুই ঢাকা, তাই এই প্রকল্পকে রাজউকের অধীনে রাখলে দেশের বিস্তৃত পরিসরে এটি কার্যকর হবে না।

ঢাকার ৫৩০-৬৫ শতাংশ ভবন ঝুঁকিপূর্ণ : পুরোনো জরিপই বলছে ভয়াবহ বাস্তবতার কথা ভূমিকম্প প্রকোপে ঢাকার মাটির প্রকৃতি সবচেয়ে ঝুঁঁকিপূর্ণ। রাজউকের ২০১৫ সালের সমীক্ষায় দেখা যায়- ঢাকা ও আশপাশের ৬৫ শতাংশ ভবন ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার উচ্চঝুঁকিতে রয়েছে। বিশেষ করে বালু দিয়ে ভরাট করা জমিতে নির্মিত ভবনগুলো অত্যন্ত অরক্ষিত। রাজউকের জরিপ ও বাংলাদেশ জাতীয় বিল্ডিং কোডের (বিএনবিসি) মানদ- অনুসরণ না করার কারণে ঝুঁকি আরও বেড়েছে।

ঢাকার ভবন-নির্মাণে ভয়াবহ অনিয়মগুলো-রাজউকের নিজস্ব জরিপই প্রকাশ করে ধানমন্ডির ৮৯ শতাংশ ভবন নকশাবহির্ভূত। খিলগাঁও-মতিঝিল-রামপুরার ৯৭ শতাংশ ভবন নকশার ব্যত্যয়। পল্লবী-মোহাম্মদপুর-মিরপুরে ৯৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ ভবন নকশার বাইরে নির্মিত। ২০০৬-১৬ এই এক দশকে নির্মিত ভবনের অধিকাংশই অনুমোদনহীন। এত বিপুলসংখ্যক অনুমোদনহীন ভবন, নকশাবহির্ভূত বহুতল, নিচতলা বেজমেন্টকে মার্কেটে রূপান্তর, নিরাপত্তাহীন পার্কিংÑ সব মিলিয়ে প্রতিদিনই ঝুঁকি বাড়ছে।

ভূমিকম্পের ঝুঁঁকি, বিশেষজ্ঞরা বলছেন ‘সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে’

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ঢাকার কাঠামো ভূমিকম্পপ্রবণ হওয়ায় বড় দুর্যোগে প্রাণহানি কয়েক লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি ভবনের মধ্যে বহু স্থাপনা অতিঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় রয়েছে।

সংশ্লিষ্টদের আশঙ্কা, কাগজ-কলমের বিলম্বে প্রকল্প-আউটপুট নষ্ট হলে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় বড় শূন্যতা তৈরি হবে। আর স্বল্প জনবল দিয়ে এত বিশাল শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অসম্ভব। তাই তৃতীয় পক্ষ নিয়োগ ছাড়া বিকল্প নেই।

বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক এবং ভূমিকম্প গবেষক মেহেদী আহমেদ আনসারী বলেন, ‘ঢাকা ও আশপাশের জেলাগুলো কাঁপিয়ে দেওয়া শুক্রবার সকালের ভূমিকম্পকে বাংলাদেশের জন্য উচ্চ সতর্কবার্তা হিসেবে নিতে হবে। এর পর শনিবার সাড়ে ৩১ ঘণ্টায় তিনবার ভূমিকম্প। রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার কম্পনে যে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র দেখা গেছে, তা স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয়, রাজধানীসহ দেশের বড় শহরগুলো ভয়াবহ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বিশেষ করে ৬ মাত্রা বা তার ওপরে ভূমিকম্প হলে ঢাকার বড় অংশ ভেঙে পড়তে পারে।’

তিনি বলেন, ‘ঢাকায় প্রায় ২১ লাখ ভবন রয়েছে। এর মধ্যে ৬ লাখ ভবন ছয়তলার ওপরে। বাকি প্রায় ১৫ লাখ ভবন একতলা থেকে চারতলা। নির্মাণসংক্রান্ত ত্রুটি, বিধিমালা অমান্য, দুর্বল ভিত্তি, অপরিকল্পিত নগরায়ণÑ সব মিলিয়ে এই উঁচু তলার ভবনগুলো বড় ভূমিকম্পে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৭ মাত্রায় যতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, ৭ মাত্রার হলে তার কয়েক গুণ বেশি হবে। ঢাকা শহরের এক-তৃতীয়াংশ বা প্রায় ৩৫ শতাংশ ভবন ধসে পড়ার আশঙ্কা আছে। তখন ২ থেকে ৩ লাখ মানুষ হতাহত হতে পারে।’

এ বিষয়ে রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্পটির বিষয়ে আমরা আগেও প্রস্তাব পাঠিয়েছি। মন্ত্রণালয় সম্প্রতি যাচাই-বাছাই করে রাজউকের কাছে পাঠিয়েছে। আমরা আইনজীবীর মাধ্যমে ড্রাফটিং করে তা আবার ফেরত পাঠাব। এরপর মন্ত্রণালয় তাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে।’

তিনি বলেন, ‘অনুমোদন হলে নতুন প্রকল্পটি রাজউকের অধীনে থাকবে না। যা একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠানে রূপ নিবে। তারা স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে। এই প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয় হবে মহাখালীতে। এ জন্য রাজউক থেকে কিছু তহবিলও দেওয়া হবে।’

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!