রবিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২৫, ০৩:১০ এএম

পানির ওপর ভাসমান স্বপ্ন

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২৫, ০৩:১০ এএম

পানির ওপর ভাসমান স্বপ্ন

পানিবেষ্টিত মানুষের সমস্যা ও বঞ্চনার বাস্তবতা  দেখেই বেড়ে উঠেছেন নাটোরের সন্তান স্থপতি মোহাম্মদ রেজোয়ান। ফলে স্কুলজীবনেই তাঁর মনে জন্ম নেয় কিছু একটা করার তীব্র ইচ্ছা। এই ইচ্ছার পরিপক্ব রূপ হলো সিধুলাই স্বনির্ভর সংস্থা প্রতিষ্ঠা, আর তারই ধারাবাহিকতায় ২০০২ সালে চলনবিলের অথৈ জলে রেজোয়ান উদ্ভাবন করেন ‘ভাসমান স্কুল’। ধীরে ধীরে এই অভিনব শিক্ষা-উদ্যোগ গড়ে ওঠে বিশ্বমানের এক শিক্ষা-বিপ্লবে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তা অর্জন করে বহু স্বীকৃতি, স্থান পায় বিশ্বব্যাংকের প্রকাশনার প্রচ্ছদে এবং লাভ করে ইউনেস্কোর অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার। তার মুখে জাগরণের গল্প শুনে লিখেছেন আরফান হোসাইন রাফি

জল, জীবন ও যাত্রার উন্মেষ

বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বেড়ে ওঠা এবং সেখান থেকে নতুন কিছু করা, এটা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে খুবই কঠিন। আর যদি বিষয়টা এমন হয় যে আপনি বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে কোনো নতুন ধারণা নিয়ে কাজ করবেন, তাহলে বিষয়টি আরও জটিল হয়ে পড়ে। কারণ বাংলাদেশে সেই ধরনের ইকোসিস্টেম নেই বা থাকলেও কতটুকু আছে, সেটা বলা কঠিন। ফলে আমার শুরুটা হয়েছিল চরম প্রতিকূলতার মাঝে। আমি ছোটবেলা থেকেই একটি শিক্ষা পেয়েছিলামÑ হার না মানার প্রবণতা। বড় বন্যা কিংবা সাইক্লোনে যেভাবে আমরা লড়াই করে টিকে থেকেছি এবং এখনও টিকে আছি, আমার মনে হয় বিশ্বের অন্য জায়গায় এমন দৃশ্য পাওয়া কঠিন। ফলে এই অভিজ্ঞতাগুলো সবসময় আমার ভেতরে ছিল। আমি দেখেছি আমার পরিবারের কঠোর পরিশ্রমের মন-মানসিকতা এবং একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর নির্ভীকতা। ফলে কিছু বাস্তবতার সঙ্গে আমি আগে থেকেই পরিচিত ছিলাম। চলনবিল এলাকা কিংবা আমাদের দেশের প্রধান সমস্যা হলো এগুলো খুব নিচু ভূমি। ফলে বর্ষায় প্রচুর পরিমাণে পানি আসে। শুধু বর্ষা নয়, হিমালয়ের হিমবাহগুলো যখন গলতে শুরু করে, তখনও আমরা প্রচুর পানি পাই। আর যেহেতু এ অঞ্চল নিচু, তাই স্বভাবতই এখানে বন্যা হয়। আমাদের নদীগুলোরও সে পরিমাণ ধারণক্ষমতা নেই। এই বন্যায় মানুষের জীবন-জীবিকা বিপর্যস্ত হয়। আমি যেহেতু এমন এলাকায় বড় হয়েছি, তাই দেখেছি, বর্ষাকালে বাচ্চাদের স্কুলে যেতে না পারা কতটা কষ্টের। আমার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু–বান্ধব অনেককেই আমি স্কুলে যেতে দেখিনি। তখন থেকেই আমার মনে একটি প্রশ্ন ছিল যে, বাচ্চারা যদি স্কুলে যেতে না পারে, তাহলে কি স্কুল তাদের কাছে আসতে পারে না? এরপর যখন আমি স্থাপত্যে পড়াশোনা করলাম, উল্লেখ করতে হয় যে স্থাপত্যের সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়েছিল বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ভবন দিয়ে। স্থপতি লুই আই কানের নকশা করা এই ভবনের (যেটিকে তাঁর পাঁচটি বিখ্যাত স্থাপত্যকর্মের একটি বলা হয়) সামনে দিয়েই আমি কলেজে যেতাম।

এটিই আমাকে স্থাপত্যে অনুপ্রাণিত করেছিল। আমি মনে করতাম, স্থাপত্যের মাধ্যমে আমি উদ্ভাবনী কাজ করতে পারব। বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলে প্রায় চারশ বছরের ইতিহাস আছে ভাসমান বাগানের, আর প্রায় সত্তর বছরের ইতিহাস আছে ভাসমান সবজি বাজারের, যেগুলোকে আমরা ঐতিহ্যগত জ্ঞান হিসেবে দেখি। আমি যখন দেখলাম, ভাসমান বাগান থাকতে পারে, ভাসমান সবজি বাজার থাকতে পারে, তাহলে স্কুলটা নৌকায় আসবে না কেন? স্কুল যদি নৌকায় আসে, তাহলে তো অনেক সমস্যাই সহজ হয়ে যায়। এরপর ঐতিহ্যগত জ্ঞান থেকে পাওয়া উপাদানগুলো, স্থানীয় সমস্যার বাস্তবতা এবং আধুনিক জ্ঞানের সমন্বয়ে ভাসমান স্কুলের ধারণা তৈরি হয়েছিল।

ভাসমান স্কুল থেকে শিক্ষা আন্দোলন

২০০২ সালে শুরু হওয়া ভাসমান স্কুল আজ ২৩ বছর পর বৈশ্বিক আলোচনায় এসেছে। এটি কেবল কোনো পুরস্কারের কারণে নয়, এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি শিক্ষা আন্দোলন, যা ধীরে ধীরে দেশের চারপাশে ছড়িয়ে পড়েছে। সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হলো, আমরা যা ২৩ বছর ধরে ধৈর্য ও মননশীলতায় গড়ে তুলেছি, সেই ভাসমান শিক্ষা আন্দোলন আজ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাচ্ছে। এই আন্দোলনের নামকরণ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত কবি ও সাহিত্যিক শঙ্খ ঘোষ। তাঁর বই ‘সন্ধ্যা নদীর জলে’-তে এই উদ্যোগের উল্লেখ আছে। ভাসমান শিক্ষা আন্দোলন এখন দেশের উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিমে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি শুধু একটি শিক্ষা সংক্রান্ত উদ্যোগ নয়, বরং তরুণদের চিন্তা ও সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা প্রসারিত করার একটি ক্ষেত্রও। আমার লক্ষ্য হলো এই আন্দোলনের মাধ্যমে তরুণদের উদ্বুদ্ধ করা এবং তাদের চিন্তার দরজা খোলে দেওয়া, যাতে তারা নতুন উদ্ভাবনী সমাধান তৈরি করতে পারে।

চ্যালেঞ্জ

একটি নতুন ধারণা মাথায় আসার পর এটি বাস্তবায়নে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল বিনিয়োগ পাওয়া, কারণ তখন এ ধরনের উদ্যোগের কোনো প্রতিষ্ঠিত বাজার বা গ্রহণযোগ্যতা ছিল না। আমি পেশায় স্থপতি হওয়ায় আরেকটি বড় সমস্যা ছিলÑ প্রচলিত ব্যবস্থায় স্থপতিরা সাধারণত ক্লায়েন্টের সমস্যা ছাড়া কাজ শুরু করতে পারেন না। কিন্তু আমার উদ্যোগটি ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন, কারণ এটি ছিল ক্লায়েন্টলেস আর্কিটেকচার। যেখানে স্থপতিই নিজের ক্লায়েন্ট হিসেবে সমস্যার উৎস চিহ্নিত করে তার সমাধান তৈরি করে। সেই সময়ে আমার মনে হয়েছিল, যদি অর্থায়নের জন্য অপেক্ষা করি তবে অনেক সময় নষ্ট হবে এবং হয়তো কিছুই করা সম্ভব হবে না। তাই বিকল্প পথ হিসেবে আমি এনজিওকে একটি নেটওয়ার্ক হিসেবে ব্যবহার করে সরাসরি ভাসমান কমিউনিটির সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করি। তবে শুরুটা মোটেও সহজ ছিল না। প্রথম চার বছর ছিল অত্যন্ত চ্যালেঞ্জপূর্ণ, কারণ হাতে ছিল মাত্র ২২,০০০ টাকা। এই সীমিত সম্পদের মধ্যেও আমরা তথ্য সংগ্রহ, স্থানীয় মানুষকে সম্পৃক্ত করা এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ভিত্তি তৈরিতে কাজ করেছি। পরবর্তীতে ২০০২ সালে যখন প্রথম নৌকা-স্কুলটি তৈরি হলো,তখন নতুন এক ধাপের চ্যালেঞ্জ সামনে এলো। বিশেষ করে, মানুষকে সম্পৃক্ত করা ছিল সবচেয়ে কঠিন বিষয়। অভিভাবক, মাঝি-শিক্ষক এবং স্থানীয় ব্যক্তিদের আশ্বস্ত করতে হয়েছিল যে, এই উদ্যোগ কেবল কার্যকরই নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদে টেকসইও হবে। ধীরে ধীরে এর ইতিবাচক প্রভাব দেখা গেল; প্রথমে একজন শিক্ষার্থী আসল, তারপর সাতজন, পরে ত্রিশ জনÑ তারপর অভিভাবকরা বুঝতে শুরু করলেন যে বাচ্চাদের আর দূরে যেতে হচ্ছে না, ফলে তারা এই উদ্যোগের প্রতি আরও আগ্রহী হয়ে উঠলেন। একই সঙ্গে স্থানীয় মাঝি-শিক্ষকদের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হলো। ক্রমে প্রয়োজনের ভিত্তিতে উদ্যোগটি সম্প্রসারিত হতে লাগল। ভাসমান স্কুলের পাশাপাশি গড়ে উঠল ভাসমান গ্রন্থাগার, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, প্লেগ্রাউন্ড এবং ভাসমান কৃষি খামার। প্রতিটি নৌকা-স্কুলে ৩০ জন শিক্ষার্থীর জন্য একটি শ্রেণিকক্ষ থাকে এবং প্রতিদিন তিন শিফটে সর্বমোট ৯০ জন শিক্ষার্থী পাঠ গ্রহণ করে। নৌকায় রয়েছে ইন্টারনেট-সংযুক্ত ল্যাপটপ,

শত শত বই, এবং সৌরশক্তিচালিত প্রযুক্তি; যেখানে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করা হয়। বর্তমানে প্রতিবছর প্রায় ২০,৩০০ জন শিক্ষার্থী ভাসমান স্কুলের মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে। এ ছাড়াও কিশোর-কিশোরীদের আয়ের সুযোগ তৈরি করতে আমরা সেলাইসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি, যাতে তারা পরিবারে অর্থনৈতিকভাবে অবদান রাখতে পারে। এর ফলে তারা শিক্ষার বাইরে থাকলেও আয় করতে পারে, ফলে কিশোরীদের বাল্যবিবাহের ঝুঁকি কমে।

স্বপ্ন-সফলতা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

বাংলাদেশের ভাসমান শিক্ষা আন্দোলন আজ স্থানীয় উদ্যোগের সীমা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির এক অনন্য উদাহরণে পরিণত হয়েছে। প্রথমদিকে ক্ষুদ্র পরিসরে শুরু হলেও, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি শুধু বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন দিগন্তই উন্মোচন করেনি, বরং বাংলা ভাষায় এমন কিছু নতুন শব্দ ও ধারণা যোগ করেছে, যেগুলোর আগে প্রচলন ছিল না। এদিকে গত ১২ নভেম্বর ঈঙচ-৩০ এর দ্বিতীয় দিনে আল জাজিরা তিনবার লাইভ সম্প্রচার এবং একটি পূর্ণাঙ্গ ডকুমেন্টারি প্রচার করে এই উদ্যোগকে বৈশ্বিক দর্শকের সামনে তুলে ধরেছে। ফলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এর গ্রহণযোগ্যতা আরও সুদৃঢ় হয়েছে। পাশাপাশি ওয়ার্ল্ড ব্যাংক তাদের কাভারে ভাসমান স্কুলকে রেখেছে এবং তাদের প্রতিবেদনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছে যে এটি ‘বাংলাদেশের উদ্ভাবন’। এ ছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং প্রকাশনা এই মডেলটিকে একের পর এক সম্মাননা ও স্বীকৃতি দিয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, স্থপতি জুলিয়া ওয়াটসন-এর বই লো-টেক: ওয়াটার, আ ফিল্ড গাইড ফর টেকনোলজিতে বিশ্বের ২২টি আধুনিক ঐতিহ্যভিত্তিক উদ্ভাবনের তালিকায় স্থান পেয়েছে এই ভাসমান স্কুল মডেল। তদুপরি, সেভ দ্য চিলড্রেন গ্লোবাল মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস (যুক্তরাজ্য) ২০২৫-এ টিআরটি ওয়ার্ল্ডের তথ্যচিত্র ফাইনালিস্ট হওয়া এই উদ্যোগের বিশ্বব্যাপী প্রভাবকে আরও সামনে এনেছে। ইউনেস্কো কনফুসিয়াস সাক্ষরতা পুরস্কারসহ ইউনিসেফ, ইউএনইপি ও ইউএনডিপি,জাতিসংঘের একাধিক সংস্থা এই উদ্ভাবনকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে। শুধু তাই নয়, ২০১৯ সালে ব্রিটিশ বই ‘আর্থ হিরোস’  আামকে বিশ্বের ২০ জন ‘আর্থ হিরো’র একজন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে পরিবেশ-সহিষ্ণু উদ্ভাবন হিসেবে এর

অবস্থানকে আরও উজ্জ্বল করেছে। এর পাশাপাশি, ফ্রান্সের ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব ইমিগ্রেশন হিস্ট্রিতে একটি শীর্ষক প্রদর্শনী ২০২৫ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৬ সালের এপ্রিল পর্যন্ত স্থায়ীভাবে প্রদর্শিত হচ্ছে, যা এ উদ্ভাবনের সাংস্কৃতিক গুরুত্বকেও সামনে আনে। এরই ধারাবাহিকতায়, ভাসমান স্কুল মডেল ইতোমধ্যে এশিয়া, আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার নয়টি দেশে সফলভাবে অনুসরণ করা হয়েছে এবং বাংলাদেশের জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা ২০৫০-এ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। অন্যদিকে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বন্যার আগমনে ভবিষ্যতে লবণাক্ত পানির বিস্তার বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে। তাই নৌকা-স্কুলগুলোকে লোনা পানির পরিবেশে আরও দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই করে গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি। এই বাস্তবতা সামনে রেখে আমরা আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশের অন্তত চল্লিশটি জেলায় ভাসমান স্কুলের মডেলটি সম্প্রসারণের লক্ষ্য নিয়েছি। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ফাউন্ডেশন ও শিক্ষা কেন্দ্রের সহযোগিতায় অন্যান্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে কাজ করে এই মডেলটিকে আরও বৈশ্বিক কর্মপরিকল্পনায় রূপ দেওয়ার উদ্যোগ চলছে। তা ছাড়া, দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ তৈরির মাধ্যমে এই উদ্যোগকে আরও শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করানো হচ্ছে। তবে সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হলো, দেশের মানুষ এখন এই উদ্ভাবনকে নিজেদের সম্পদ হিসেবে গ্রহণ করেছে। মানুষের এই ভালোবাসা ও স্বীকৃতি আমাদের সবচেয়ে বড় প্রেরণা। ভবিষ্যতে নৌকার ডিজাইন আরও উন্নত ও জলবায়ু-সহিষ্ণু

করে তোলার পাশাপাশি দেশের বাইরে

আরও অন্তত দশটি দেশে নিজস্বভাবে ভাসমান স্কুল বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশকে বিশ্বমঞ্চে আরও গৌরবময় অবস্থানে নিয়ে যেতে চাই।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!