ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘কাজিকি’। পাঁচ লাখ ৮৬ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ভিয়েতনাম। দেশটির আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ঝড়টি ইতোমধ্যেই ঘণ্টায় ১৬৬ কিলোমিটার (১০৩ মাইল) গতি নিয়ে বইছে।
সোমবার (২৫ আগস্ট) ভোরে স্থলভাগে আঘাত হানার আগে এটি আরও শক্তিশালী হবে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। আজ রোববার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ভিয়েতনামের থান হোয়া, কোয়াং ত্রি, হিউ এবং দা নাং প্রদেশের মধ্যাঞ্চলের মানুষদের বাড়িঘর ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আপাতত দেশটির অভ্যন্তরে বিমান চলাচল বাতিল করা হয়েছে এবং মাছ ধরার নৌকাগুলোকে তীরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ইতোমধ্যেই ঝড়টি চীনের হাইনান অতিক্রম করছে। সেখানে আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, ৩২০ মিলিমিটার (১২.৬ ইঞ্চি) পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে।
বিবিসি ওয়েদারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিয়েতনামের অভ্যন্তরে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে টাইফুন বা ঘূর্ণিঝড় কাজিকির শক্তি কিছুটা দুর্বল হবে। তবুও বাতাসের গতি ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার হতে পারে এবং ৩০০-৪০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ২ থেকে ৪ মিটার (৬.৬-১৩ ফুট) উচ্চতার ঝড়ো জলোচ্ছ্বাসেরও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

কর্তৃপক্ষ রোববার দুপুর ২টার পর প্রকল্পিত পথের লোকজনকে বাইরে না যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সাহায্যের জন্য সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে।
কৃষি ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে এএফপি জানিয়েছে, ‘পরিস্থিতি অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং পর্যটন, মাছ ধরার জাহাজ ও জলজ যানবাহনের জন্য নিরাপদ নয়।’
রোববার ও সোমবার ভিয়েতনাম এয়ারলাইন্স কেন্দ্রীয় শহরগুলোতে যাওয়া এবং যাওয়া কমপক্ষে ২২টি ফ্লাইট বাতিল করেছে।
কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, ঝড়টি গত বছরের সেপ্টেম্বরের ইয়াগির মতো ধ্বংসাত্মক হতে পারে। ওই টাইফুনে শত শত মানুষ মারা গিয়েছিল, যার মধ্যে কেবল ভিয়েতনামেই ৩০০ জন নিহত হয়েছিল।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন