শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৫, ০৯:১০ এএম

গাজাকে ‘আতঙ্কের জনপদ’ বলছে ইউনিসেফ, ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ৭৫

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৫, ০৯:১০ এএম

নিহত সন্তানের লাশ বুকে নিয়ে আহাজারি করছেন ফিলিস্তিনি মা। ছবি- সংগৃহীত

নিহত সন্তানের লাশ বুকে নিয়ে আহাজারি করছেন ফিলিস্তিনি মা। ছবি- সংগৃহীত

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের লাগাতার বোমাবর্ষণে একদিনে কমপক্ষে আরও ৭৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে কেবল গাজা সিটিতেই নিহত হয়েছেন ৪৪ জন। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা

জাতিসংঘ শিশু তহবিল ইউনিসেফ ইতোমধ্যেই গাজা সিটিকে আখ্যা দিয়েছে ‘আতঙ্কের নগরী’ বলে। বৃহস্পতিবার তাল আল-হাওয়া এলাকায় একটি তাঁবুতে ইসরায়েলি হামলায় একই পরিবারের পাঁচজন নিহত হন, যাদের মধ্যে তিনজনই শিশু।

এদিকে টানা বোমাবর্ষণে বিধ্বস্ত হচ্ছে পাড়া-মহল্লা, প্রাণ হারাচ্ছেন বহু সংখ্যক ফিলিস্তিনি, আর আশ্রয়ের খোঁজে পালিয়েও নিরাপত্তা পাচ্ছেন না কেউ। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নির্বিচার বোমাবর্ষণে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে গাজা সিটির পাড়া-মহল্লা। আতঙ্কে পালাতে চাইছেন মানুষ, কিন্তু গোটা উপত্যকাতেই নিরাপদ আশ্রয় নেই। টানা ২৩ মাস ধরে চলছে এ নির্মম হামলা।

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) গাজা সিটির জেইতুন, সাবরা, তুফাহ, নাসর ও শুজাইয়া এলাকায় ভয়াবহ বোমাবর্ষণের খবর পাওয়া গেছে। তুফাহ পাড়ায় অন্তত আটজন নিহত ও বহু আহত হয়েছেন বলে জানান সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল। হামলার এক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত তাঁবুগুলোর সামনে ফিলিস্তিনিরা ভাঙাচোরা মালামাল গুছিয়ে নিচ্ছেন। ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে রক্তে ভেজা একটি গোলাপি রঙের স্যান্ডেলও মেলে।

আল জাজিরার সাংবাদিক হানি মাহমুদ জানান, মানুষ এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় পালাচ্ছেন নিরাপত্তার খোঁজে, কিন্তু যেখানে যাচ্ছেন সেখানেও ইসরায়েলি বিমান ও গোলাবর্ষণ তাদের পিছু ছাড়ছে না। অনেকে আশ্রয় নিয়েছিলেন শেখ রাদওয়ান এলাকায়। কিন্তু সেখানে ইসরায়েলি ট্যাংক ঢুকে ঘরবাড়ি ধ্বংস করেছে, তাঁবুতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। হাসপাতালগুলোতে মৃত ও আহতের ঢল নেমেছে। আল-শিফা হাসপাতালে মর্গের মেঝেতে লাশ সারিবদ্ধভাবে রাখা। বাইরে এক মা তার নিহত সন্তানের মাথায় হাত বুলিয়ে কাঁদছিলেন আর বলছিলেন—‘আমাকে ফেলে কোথায় গেলে, বাবা? কেন?’

ইসরায়েলি সেনাদের তথ্য অনুযায়ী, তারা এখন গাজা সিটির ৪০ শতাংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এবং আগামী দিনগুলোতে অভিযান আরও জোরদার করবে। আল জাজিরার সানাদ ফ্যাক্ট-চেকিং এজেন্সি স্যাটেলাইট ছবিতে অন্তত ৫২টি ইসরায়েলি সামরিক যান জেইতুন এলাকায় মোতায়েন থাকতে দেখেছে। ছবিগুলো দেখাচ্ছে, গত ২৫ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে উত্তর ও মধ্য গাজা সিটি থেকে পশ্চিমে, বিশেষ করে আল-রাশিদ সড়ক ও সমুদ্রতীরবর্তী এলাকায়, ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু দক্ষিণ গাজায় আশ্রিতদের অবস্থাও ভয়াবহ। খান ইউনিসে চার মাস আগে গাজা সিটি থেকে পালিয়ে যাওয়া গর্ভবতী নারী শুরুক আবু ঈদ জানান, উত্তর দিক থেকে নতুন মানুষ আসায় তাদের দুর্দশা আরও বেড়েছে। তিনি বলেন, ‘কোনও গোপনীয়তা নেই, শান্তিও নেই।’

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!