২০২৫ সালে আফ্রিকার বিলিয়নেয়ারদের সম্পদে বড় ধরনের উত্থান দেখা গেছে। প্রথমবারের মতো মহাদেশটির ধনকুবেরদের সম্মিলিত সম্পদ ১০০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে দাঁড়িয়েছে ১০৫ বিলিয়ন ডলারে। বর্তমানে আফ্রিকায় বিলিয়নেয়ারের সংখ্যা ২২, যা গত বছরের ২০ জন থেকে বেড়েছে। একই সময়ে বিশ্বব্যাপী ইকুইটি বাজারে ২২ শতাংশ বৃদ্ধি এই সম্পদ বাড়ার অন্যতম কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
নাইজেরিয়ার ব্যবসায়িক সম্রাট আলিকো ডাঙ্গোতে টানা ১৪তম বছরের মতো আফ্রিকার শীর্ষ ধনী ব্যক্তির স্থান ধরে রেখেছেন। তার বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ২৩.৪ বিলিয়ন ডলার- গত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। লাগোসের কাছে নতুন তেল শোধনাগারের মূল্যায়ন তার সম্পদ বৃদ্ধির অন্যতম বড় কারণ। দীর্ঘদিন ধরে বিলম্বিত এই শোধনাগারটি ২০২৪ সালের শুরুতে আংশিকভাবে চালু হয় এবং ২০২৫ সালে পূর্ণ সক্ষমতায় পৌঁছানোর কথা। এটি নাইজেরিয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যা দেশটিকে পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম রপ্তানির সুযোগ করে দেবে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিলাসবহুল পণ্যের ব্যবসায়ী জোহান রুপার্ট ১৫.১ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় ধনী হয়েছেন। গত বছরের তুলনায় তার সম্পদ বেড়েছে ৪০ শতাংশেরও বেশি। নাইজেরিয়ান বিদ্যুৎ বিনিয়োগকারী ফেমি ওটেডোলা এবার ১.৪ বিলিয়ন ডলারের মালিক হয়েছেন। একই সঙ্গে শেয়ারবাজারের ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির জেরে তালিকায় আবারও ফিরেছেন মরক্কোর আনাস সেফ্রিউই এবং দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যানি মাউতোন।
তবে সবার ভাগ্যে আলো জ্বলেনি। জিম্বাবুয়ের স্ট্রাইভ মাসিয়িওয়ার সম্পদ কমেছে প্রায় ৩৩ শতাংশ। দেশটির নতুন সোনাসমর্থিত জিগ মুদ্রায় রূপান্তরের প্রভাব পড়েছে তার ব্যবসায়িক মূল্যায়নে।
আফ্রিকার দেশভিত্তিক বিলিয়নেয়ার সংখ্যা বিশ্লেষণে দেখা যায়, দক্ষিণ আফ্রিকা এগিয়ে রয়েছে ৭ জন বিলিয়নেয়ার নিয়ে। পরের অবস্থানে রয়েছে নাইজেরিয়া ও মিশর, উভয় দেশেরই ৪ জন করে বিলিয়নেয়ার রয়েছে। মরক্কোতে রয়েছে ৩ জন এবং আলজেরিয়া, তানজানিয়া ও জিম্বাবুয়েতে রয়েছে একজন করে বিলিয়নেয়ার। ফোর্বসের এই তালিকায় শুধুমাত্র আফ্রিকায় বসবাসকারী ধনীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং ৭ মার্চ ২০২৫ তারিখের বাজার মূল্যায়নের ভিত্তিতে সম্পদের হিসাব করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন