সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৫, ০৪:৫২ পিএম

নেপালে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১৪ 

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৫, ০৪:৫২ পিএম

বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের জলকামান, কাঁদানে গ্যাস ও গুলিবর্ষণ। ছবি- সংগৃহীত

বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের জলকামান, কাঁদানে গ্যাস ও গুলিবর্ষণ। ছবি- সংগৃহীত

দক্ষিণ এশিয়ার দেশ নেপালে দুর্নীতি ও সরকারের সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধের প্রতিবাদে জেনারেশন জেডের (জেন-জি) বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ১৪ জনে দাঁড়িয়েছে। তবে আহতের সংখ্যা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এরইমধ্যে হাজারো বিক্ষোভকারী পার্লামেন্ট ভবন ঘিরে ফেলেছে। কাঁটাতারের বেড়া ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাঁধে। পরে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্ট প্রাঙ্গণে ঢুকে পড়লে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশ জলকামান, টিয়ারগ্যাস এবং গুলি চালিয়ে তাদের ঠেকানোর চেষ্টা করে। এতে বহু বিক্ষোভকারী আহত হন।

দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য হিমালয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানী কাঠমান্ডুতে জেন-জিদের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছোড়া গুলিতে কমপক্ষে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। হাসপাতালের রিপোর্ট অনুসারে, তাদের মধ্যে ট্রমা সেন্টারে ছয় জন, সিভিল হাসপাতালে তিন জন, এভারেস্ট হাসপাতালে তিন জন, কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজে (কেএমসি) একজন এবং ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় টিচিং হাসপাতালে একজন রয়েছেন।

সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, বিপুল সংখ্যক রোগীর কারণে আহতদের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ করা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সিভিল হাসপাতাল ও ট্রমা সেন্টারসহ হাসপাতালগুলোতে রোগীর ভিড় এতটাই বেশি যে তাদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।এ কারণে তাদের অন্যান্য চিকিৎসা কেন্দ্রে রেফার করা শুরু করেছে বলে জানা গেছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিহত ও অনেক আহতের পরিচয় এখনও নিশ্চিত করা হয়নি। সিভিল হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক মোহন চন্দ্র রেগমি জানান, বেশ কিছু বিক্ষোভকারী সিভিল হাসপাতাল, এভারেস্ট হাসপাতাল এবং আশপাশের অন্যান্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

দ্য কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয় প্রশাসন রাজধানী কাঠমান্ডুর বিভিন্ন এলাকায় কারফিউ জারি করেছে। পাশাপাশি দেশের অন্য বড় শহরগুলোতেও বিক্ষোভকারীরা সমাবেশ করছেন বলে জানা গেছে।

এর আগে গত শুক্রবার নেপালে ফেসবুক, ইউটিউব ও এক্সসহ ২৬টি প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে বিপুলসংখ্যক ব্যবহারকারী ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন। ইনস্টাগ্রামের মতো জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মের লাখো ব্যবহারকারী নেপালে রয়েছেন, যারা বিনোদন, সংবাদ ও ব্যবসার জন্য এসব প্ল্যাটফর্মের ওপর নির্ভরশীল।

এর মধ্যেই সোমবার জাতীয় পতাকা হাতে জেনারেশন জেডের (জেন-জি) বিক্ষোভকারীরা জাতীয় সংগীত গেয়ে আন্দোলন শুরু করেন। এরপরই তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা ও দুর্নীতিবিরোধী স্লোগান দেন।

২৪ বছর বয়সি শিক্ষার্থী ইউজন রাজভাণ্ডারি বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ হওয়ায় আমরা ক্ষুব্ধ। এ ছাড়া নেপালে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নেওয়া দুর্নীতির বিরুদ্ধেও আমরা প্রতিবাদ করছি। ২০ বছর বয়সি ইক্ষামা তুমরোক জানান, তিনি সরকারের ‘স্বৈরাচারী মনোভাবের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন। তিনি যোগ করেন, ‘আমরা পরিবর্তন চাই। অন্যরা এটা সহ্য করেছে, কিন্তু আমাদের প্রজন্ম এর শেষ দেখতে চায়।’

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!