মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৫, ০৮:৩৭ এএম

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার কাঠমান্ডুর

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৫, ০৮:৩৭ এএম

দু’হাত মেলে বুক প্রসারিত করে বুলেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছে এক বিক্ষোভকারী । ছবি- সংগৃহীত

দু’হাত মেলে বুক প্রসারিত করে বুলেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছে এক বিক্ষোভকারী । ছবি- সংগৃহীত

অবশেষে ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে নেপাল। দেশটির রাজধানী কাঠমান্ডুতে ব্যাপক বিক্ষোভ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ জন নিহত ও শতাধিক আহত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলির নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভা এ সিদ্ধান্ত নিল। নেপালের যোগাযোগ, তথ্য ও সম্প্রচারবিষয়ক মন্ত্রী পৃথ্বী সুব্বা গুরুং সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে এক ঘোষণায় এ তথ্য জানিয়েছেন।

মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সাংবাদিকদের পৃথ্বী সুব্বা গুরুং বলেন, ‘সরকার জেন জি’দের দাবি মেনে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন আন্দোলনকারীদের প্রতি আমাদের অনুরোধ— আপনারা শান্ত হোন এবং বাড়ি ফিরে যান।’

যোগাযোগ, তথ্য ও সম্প্রচারবিষয়কমন্ত্রী সাংবাদিকদের আরও জানান, সোমবারের সহিংসতা তদন্তে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটিকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছর নেপালের সুপ্রিম কোর্ট দেশটিতে সক্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোকে সরকারিভাবে নিবন্ধিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। হাইকোর্টের সেই নির্দেশের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির নেতৃত্বাধীন সরকার দেশে সক্রিয় সামাজিক যোগাযোগামাধ্যমগুলোকে নিবন্ধনের জন্য গত ২৮ আগস্ট থেকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল।

কিন্তু নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরও সরকারিভাবে নিবন্ধন না করায় ফেসবুক, এক্স, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউবসহ ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে এ নিষেধাজ্ঞা।

এদিকে, সরকারের এই নিষেধাজ্ঞা ব্যাপকভাবে ক্ষুব্ধ করে দেশটির স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া শিক্ষার্থী এবং তরুণ প্রজন্মকে। জেন জি নামে পরিচিত এই তরুণ প্রজন্ম গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকেই সরকারের এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

অবশেষে রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হয় আন্দোলন এবং সোমবার তা রীতিমতো উত্তাল হয়ে ওঠে। রাজধানী কাঠমান্ডুতে কারফিউ অমান্য করে বিক্ষোভে নেমেছেন শিক্ষার্থী-জনতা। শুরুর দিকে এই বিক্ষোভে শীর্ষ দাবি হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাপের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি এলেও গতকাল এটি প্রায় পুরোপুরি সরকারবিরোধী আন্দোলনে মোড় নেয়।

বিক্ষোভকারীদের দাবির মুখে সোমবার একপর্যায়ে পদত্যাগ করেছেন নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক। প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলিরও পদত্যাগের দাবি ওঠা শুরু করেছিল। সোমবারের মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রী অলি বলেন, ‘আমরা গত প্রায় দেড় বছর ধরে এই ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে সরকারিভাবে নিবন্ধিত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছি। আমরা শুধু তাদের নেপালের আইন মেনে চলতে বলেছিলাম; কারণ এটির সঙ্গে আমাদের জাতীয় সার্বভৌমত্বের সম্মানের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত।’

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!