বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৫, ০৭:৪৫ পিএম

নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৫, ০৭:৪৫ পিএম

কাঠমান্ডুতে বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঝলানাথ খানালের স্ত্রী রাজ্যলক্ষ্মী চিত্রকর। ছবি- সংগৃহীত

কাঠমান্ডুতে বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঝলানাথ খানালের স্ত্রী রাজ্যলক্ষ্মী চিত্রকর। ছবি- সংগৃহীত

নেপালে জেন-জি’দের বিক্ষোভের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঝলানাথ খানালের স্ত্রী রাজ্যলক্ষ্মী চিত্রকর মারা গেছেন। রাজধানী কাঠমান্ডুতে তাদের বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় গুরুতর দগ্ধ হয়েছিলেন তিনি।

সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

পরিবারের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, চিত্রকরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কির্তিপুর বার্ন হাসপাতালে নেওয়া হলেও চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এদিকে চলমান বিক্ষোভে প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলির পর এবার পদত্যাগ করলেন প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাউডেল। সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টিভির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

এর আগে বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনে ঢুকে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং সেখান থেকে বিভিন্ন সামগ্রী লুট করে। এ ছাড়া কে পি শর্মার ব্যক্তিগত বাসভবনও ভাঙচুর করা হয়।

টানা দ্বিতীয় দিনের মতো নেপালে সহিংস বিক্ষোভে কমপক্ষে ২০ জন নিহত ও বহু মানুষ আহত হয়েছেন। রাজধানীসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের সঙ্গে তীব্র সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

বিক্ষুব্ধ পরিস্থিতির মধ্যেই ধাওয়া ও মারধর করা হয় অর্থমন্ত্রী বিষ্ণু প্রসাদ পাউডেলকে। এ ছাড়া নেপালি কংগ্রেসের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা এবং তার স্ত্রী অর্জু রানা দেউবা—দুজনকেই তাদের বাসভবনে বিক্ষোভকারীরা মারধর করেছে বলে জানা গেছে।

এদিকে, পদত্যাগের পর কে পি শর্মা অলি ব্যক্তিগত বিমানে দুবাই যেতে পারেন বলে জানা গেছে। এর আগে অলি এক বিবৃতিতে বলেন, পরিস্থিতি মূল্যায়ন ও সমাধান খুঁজে বের করতে তিনি সংশ্লিষ্ট সব দলের সঙ্গে সংলাপে রয়েছেন।

সংবাদমাধ্যম নিউজ ১৮ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নেপালের পার্লামেন্ট ভবন, সুপ্রিম কোর্ট ভবনসহ প্রশাসনিক এলাকার বেশ কয়েকটি ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। দ্য হিমালয়ান টাইমস জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা পশ্চিম গেট ভেঙে প্রবেশ করে কাঠমান্ডুর সিংহ দরবার কমপ্লেক্সে এবং প্রধান ভবনে অগ্নিসংযোগ করে।

সিংহ দরবার নেপাল সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক কমপ্লেক্স। ২০১৫ সালের বিধ্বংসী ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর এটি সংস্কার করে পুনরায় চালু করা হয়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিক্ষোভকারীরা মূল গেট ভেঙে জোর করে ভেতরে প্রবেশ করে।

পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যখন বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্ট ভবনে প্রবেশ করে আগুন ধরিয়ে দেয়। সানেপায় নেপালি কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং ললিতপুরে সিপিএন-ইউএমএল দলের কার্যালয়েও ভাঙচুর চালায় বিক্ষোভকারীরা।

এ সময় বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা, এমনকি মন্ত্রিসভার সদস্যরাও আহত হন।

Link copied!