কাতারের রাজধানী দোহায় গত মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) হামলা চালায় ইসরায়েল। চাঞ্চল্যকর এই হামলায় অন্তত ছয়জন নিহত হন। এবার জানা গেছে, এই হামলার সময় সৌদি আরবের ওপর দিয়ে দোহায় মিসাইল নিক্ষেপ করেছিল ইসরায়েল। প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার দূরের এই হামলায় দোহায় প্রবল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় এবং কালো ধোঁয়া আকাশে উড়তে দেখা যায়।
তবে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো পার্শ্ববর্তী কোনো আরব দেশের আকাশসীমায় প্রবেশ করেনি। মার্কিন সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় জেরুজালেম পোস্ট।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইসরায়েলি বাহিনী লোহিত সাগর থেকে পাঠানো যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে কাতারের দোহায় অবস্থানরত হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে বলে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়। গত শুক্রবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, লোহিত সাগরের আকাশসীমায় ইসরায়েলি বিমানবাহিনী (আইএএফ) আটটি এফ-১৫ এবং চারটি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছিল। তবে কোনো ইসরায়েলি বিমান পার্শ্ববর্তী কোনো আরব দেশের আকাশসীমায় প্রবেশ করেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হামাস নেতারা এ সময় কাতারে অবস্থান করছিলেন। এখানেই যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টকম নামের আঞ্চলিক সামরিক ঘাঁটি রয়েছে, যা হামলার স্থান থেকে মাত্র ৩৫ কিলোমিটার দূরে। ইসরায়েলের দাবি, তারা দোহায় হামাস নেতাদের এক বৈঠককে নিশানা করে ওই বিমান হামলা চালিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত গাজার যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য ওই বৈঠক বসেছিল।
শুধু কাতার নয়, এই হামলা চালানোর ৭২ ঘণ্টায় মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার আরও ৫ দেশে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশগুলো হলো লেবানন, ইয়েমেন, সিরিয়া, তিউনিশিয়া, ফিলিস্তিন।
এদিকে, হামাস শুক্রবার দাবি করে, হামলায় তাদের ভারপ্রাপ্ত নেতা খলিল আল-হাইয়া বেঁচে গেছেন। এর আগের দিন একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা জেরুজালেম পোস্টকে জানান, এই হামলায় কোনো শীর্ষ হামাস নেতা নিহত না হওয়ায় উদ্বেগ বেড়েছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন