শহীদ স্বীকৃতি ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদাসহ বিভিন্ন দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত প্রিয়জনদের মরদেহ গ্রহণ করবেন না বলে জানিয়েছেন নেপালের জেন-জি আন্দোলনে নিহতদের পরিবার। দেশটির নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কির বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে এ ঘোষণা দেন শহীদ পরিবারগুলো। তাদের এই দাবির মধ্যে নিহতদের পরিবারকে সচিব পর্যায়ের পেনশন সুবিধা দেওয়ার কথাও বিশেষভাবে উল্লেখ রয়েছে।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্ট।
এদিকে আন্দোলন ও সহিংস বিক্ষোভে নিহতদের স্বজন এবং আহতদের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই একটি সংগ্রাম কমিটি গঠন করা হয়েছে। রোববার তারা প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কির সরকারি বাসভবন বালুওয়াটারের সামনে জড়ো হয়ে জানান, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করার অপেক্ষায় আছেন তারা।
পরিবারগুলোর দাবির মধ্যে রয়েছে—৮ ও ৯ সেপ্টেম্বরের বিক্ষোভে নিহতদের শহীদ ঘোষণা করতে হবে, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন করতে হবে এবং শেষকৃত্যের মিছিল রিং রোড প্রদক্ষিণ করতে হবে। একইসঙ্গে নিহতদের পরিবারকে শুধু তাৎক্ষণিক আর্থিক সহায়তাই নয়, সচিব পর্যায়ের সমপরিমাণ পেনশন সুবিধাও দিতে হবে বলেও দাবি করেছেন তারা।
উল্লেখ্য, নেপালে প্রধানমন্ত্রী কার্কি দায়িত্ব গ্রহণের পর নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে পরিবারগুলোর দাবি, নিহতদের আত্মত্যাগের যথাযথ স্বীকৃতির জন্য আরও বিস্তৃত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, নেপালে জেন-জি বিক্ষোভে সহিংসতার ঘটনায় ৭২ জন মারা গেছে। কয়েক দশকের মধ্যে নেপালের সবচেয়ে ভয়াবহ এ অস্থিরতায় আহত হয়েছেন অন্তত ২ হাজার ১১৩ জন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন