বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০২৫, ১২:২৬ পিএম

ইসরায়েলকে সহযোগিতা করায় ৩৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল হামাস

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০২৫, ১২:২৬ পিএম

হামাসের একজন সদস্য। ছবি - সংগৃহীত

হামাসের একজন সদস্য। ছবি - সংগৃহীত

দীর্ঘ যুদ্ধবিরতির পর গাজায় নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস- ইসরায়েলকে সহযোগিতার অভিযোগে ৩৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। গোষ্ঠীটির দাবি, এসব ব্যক্তি হামাসের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করে গাজায় বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছিল এবং বিদেশি শক্তির হয়ে কাজ করছিল।

গতকাল (১৪ অক্টোবর) সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

রয়টার্স জানায়, যুদ্ধবিরতির পর থেকেই হামাস গাজার অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। এ সময় তারা অভিযোগ পায়, কিছু ব্যক্তি ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি চালিয়ে গোপনে তথ্য পাচার করছিল এবং নিরাপত্তা সংকট তৈরি করছিল। হামাস জানিয়েছে, তদন্ত শেষে এসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার জবাবে ইসরায়েল যে সামরিক অভিযান শুরু করে, তা দুই বছর ধরে গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। এই সময়ে হামাসের শাসন কাঠামো ভেঙে পড়লে গাজা প্রায় আইনশৃঙ্খলাহীন হয়ে পড়ে। যুদ্ধবিরতির পর হামাস দ্রুততার সঙ্গে প্রশাসন ও নিরাপত্তা কাঠামো পুনর্গঠনে মনোযোগী হয়।

গাজার নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান, যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে কিছু সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং হামাসবিরোধী নেতার তৎপরতায় বিভ্রান্তি ও সহিংসতা দেখা দেয়। জননিরাপত্তা রক্ষায় হামাস বাধ্য হয় কড়াকড়ি আরোপ করে। রাফাহ অঞ্চলে এক প্রভাবশালী হামাসবিরোধী নেতার বিরুদ্ধেও অভিযান চলছে, যার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের হয়ে কাজ করার অভিযোগ রয়েছে।

হামাস সরকারের মিডিয়া অফিসের প্রধান ইসমাইল আল-থাওয়াবতা বলেন, ‘আমরা গাজায় নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এখন আমাদের অগ্রাধিকার।’

তিনি আরও জানান, ‘ভবিষ্যতে যদি একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়, হামাস তার অস্ত্র সেই রাষ্ট্রের হাতে সমর্পণ করতে প্রস্তুত। তবে গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন শুধুই ফিলিস্তিনিরা- বিদেশি কোনো হস্তক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয়।’

অন্যদিকে, যুদ্ধবিরতির মাঝেও ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা বন্ধ হয়নি। গতকাল মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) গাজা সিটির দুটি পৃথক স্থানে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে ৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন।

আলজাজিরা জানায়, নিহতরা যুদ্ধবিরতির পর নিজ নিজ বাসায় ফিরছিলেন।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, নিহতরা সেনাদের খুব কাছাকাছি চলে এসেছিল এবং সন্দেহভাজন মনে করেই তারা গুলি চালায়।

এ বিষয়টি ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করে জানিয়েছে, নিহতদের গাজার আল-আহলি ও আল-নাসের হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

এর আগে, ১৩ অক্টোবর, যুদ্ধবিরতির আওতায় হামাস ২০ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেয়। জবাবে ইসরায়েল সরকার গুরুতর সাজাপ্রাপ্ত ২৫০ জনসহ মোট ১৭০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়। মুক্তিপ্রাপ্তদের স্বাগত জানাতে খান ইউনিসের নাসের হাসপাতাল চত্বরে বিপুল জনসমাগম ঘটে।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে ইসরায়েলে চালানো এক অভূতপূর্ব হামলায় প্রায় ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত এবং ২৫১ জন জিম্মি হয়। এর জবাবে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে গাজায় অন্তত ৬৮,০০০ ফিলিস্তিনি নিহত হন বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো হাজারো মানুষ চাপা পড়ে আছেন।

Link copied!