সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২৫, ০৮:৩২ পিএম

জয়ী হলেও পদ হারানোর শঙ্কায় আল-সুদানি

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২৫, ০৮:৩২ পিএম

মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি। ছবি- এপি

মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি। ছবি- এপি

ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি তার নেতৃত্বাধীন ‘নির্মাণ ও উন্নয়ন কোঅ্যালিশন’ (Building and Development Coalition)-এর হাত ধরে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফেরার জন্য জোর প্রচার চালাচ্ছেন।

আগামী ১১ নভেম্বরের পার্লামেন্ট নির্বাচনে এই জোটের সর্বোচ্চ আসন জয় নিশ্চিত করা তার রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য অপরিহার্য। তবে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, কোঅ্যালিশন নির্বাচনে জয়ী হলেও এর অভ্যন্তরীণ অসঙ্গতির কারণে তা ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আল-সুদানির নির্বাচনি প্রচারণার মূল ভিত্তি হলো তার সরকারের সেবামূলক অর্জন, যেমন অবকাঠামো উন্নয়ন। একইসঙ্গে তিনি তেহরান ও ওয়াশিংটন উভয়ের সঙ্গে সুষম সম্পর্ক বজায় রাখার এবং ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইরাককে আঞ্চলিক সংঘাত থেকে দূরে রাখার নীতির ওপর জোর দিচ্ছেন।

তার সরকার বাগদাদের রাস্তা ও সেতু নির্মাণে বিপুল অর্থ ব্যয় করেছে, যা তার 'নির্মাণ ও উন্নয়ন' রণকৌশলের মূল প্রতিপাদ্য।

একত্রিত, কিন্তু সুসংগঠিত নয় জোট

মে ২০২৫-এ ঘোষিত আল-সুদানির সাত-দলীয় কোঅ্যালিশন আপাতদৃষ্টিতে শক্তিশালী দেখালেও এর ভেতরের দুর্বলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জোটের প্রভাবশালী শক্তিগুলোর মধ্যে রয়েছেন পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সেস (PMF)-এর চেয়ারম্যান ফালেহ আল-ফাইয়্যাদ, শ্রমমন্ত্রী আহমেদ আল-আসাদি এবং কারবালা গভর্নর নাসিফ আল-খাত্তাবি।

তবে, শিয়া কো-অর্ডিনেশন ফ্রেমওয়ার্ক (SCF) থেকে যোগ দেওয়া এবং ২০২১ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়ী হওয়া ৫৩ জন বিদ্যমান সংসদ সদস্য এবং প্রভাবশালী জনজাতীয় নেতাদের (শেখ) অন্তর্ভুক্তি আল-সুদানির দীর্ঘদিনের দল 'আল-ফুররাতেইন কারেন্ট'-এর দুর্বলতাকে আড়াল করছে বলে মনে করছেন স্থানীয় পর্যবেক্ষকরা।

আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আল-সুদানির ঘনিষ্ঠ সমর্থকরা (আল-ফুররাতেইন) আসন জেতার সম্ভাবনা কম, বরং জনজাতীয় নেতা এবং অন্যান্য প্রার্থীরা জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

এই প্রার্থীরা সাধারণত প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ব্যবহার করে নিজেদের জনপ্রিয়তা বাড়াতে আগ্রহী হলেও তাদের আনুগত্য দীর্ঘমেয়াদী নয়, বরং লেনদেন-ভিত্তিক হয়ে থাকে। নির্বাচনের পর এই লেনদেন-ভিত্তিক সম্পর্কই জোট পতনের কারণ হতে পারে।

অর্থ বিতরণে বৈষম্য

আল-সুদানি সরকারের সেবামূলক কার্যক্রমের মূল ফোকাস ছিল বাগদাদ। ২০২০ সালের প্রথমার্ধের অর্থ মন্ত্রকের নথি অনুযায়ী, বাগদাদের অবকাঠামো প্রকল্পে বরাদ্দ ছিল ৮২২ বিলিয়ন দিনার (৬২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)।

বিপরীতে, শিয়া দলগুলোর মূল ভোটভিত্তি মধ্য ও দক্ষিণ প্রদেশগুলোতে মাত্র ৬০০ বিলিয়ন দিনার (৪৫৯ মিলিয়ন) বরাদ্দ করা হয়েছে।

নাজাফ গভর্নর ইউসেফ কন্নাউই উল্লেখ করেছেন, তার প্রদেশের জন্য বরাদ্দ ৫০০ বিলিয়ন দিনারের মধ্যে মাত্র ৬০ বিলিয়ন পৌঁছেছে। একমাত্র ব্যতিক্রম হলো কারবালা, যেখানে গভর্নর আল-খাত্তাবি ৩১৮ বিলিয়ন দিনার (২৪৩ মিলিয়ন) পেয়েছেন।

সাংসদ আদনান আল-জুরফির অভিযোগ, এই অর্থগুলো স্কুল, হাসপাতাল ও অবকাঠামোতে ব্যয় না হয়ে বাগদাদের রাস্তায় ব্যয় হয়েছে।

এদিকে, নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক, আল-সুদানির দ্বিতীয় মেয়াদের প্রধানমন্ত্রীত্ব নির্ভর করছে শিয়া রাজনৈতিক কন্সেন্সাসের ওপর।

এএএইচ-এর নেতা কায়স আল-খাজালি সম্প্রতি স্পষ্ট করে বলেছেন, যে আল-সুদানির দ্বিতীয় মেয়াদ এসসিএফের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবে এবং শিয়া রাজনৈতিক কন্সেন্সাসের বাইরে পদ গ্রহণ সম্ভব নয়।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!