রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও মেক্সিকোর মতো যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদারদের ওপরও চাপ বাড়াচ্ছেন তিনি। তবে এই হুমকির পরও মার্কিন শেয়ারবাজারে খুব একটা বড় অস্থিরতা দেখা যায়নি।
সোমবার (১৪ জুলাই) ট্রাম্প বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ আগামী ৫০ দিনের মধ্যে বন্ধ না হলে রাশিয়ার পণ্যের ওপর সর্বোচ্চ ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের খবরে বলা হয়েছে, একই দিনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানায়, তারা আপাতত যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিশোধমূলক শুল্ক দেবে না। এর আগে ট্রাম্প ইইউ ও মেক্সিকোর কিছু পণ্যের উপর ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন। ইইউ কমিশনার মারোস শেফকোভিচ জানিয়েছেন, তিনি এ বিষয়ে আলোচনার জন্য তার মার্কিন সমকক্ষের সঙ্গে বৈঠকে আগ্রহী।
বাজারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া
এই ঘোষণা বাজারে খুব একটা তোলপাড় তুলতে পারেনি। প্রধান মার্কিন স্টক সূচকগুলো সামান্য উত্থান দেখিয়েছে, ইউরোর মানে খুব বেশি পরিবর্তন আসেনি। তবে মেক্সিকান পেসো কিছুটা দুর্বল হয়েছে।
ট্রাম্পের শুল্ক-হুমকির এটি সর্বশেষ ধাক্কা। গত সপ্তাহেই কানাডার বিরুদ্ধে ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তার প্রভাবেই এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানোর পর নিম্নমুখী হয়।
সামনের সপ্তাহটি বাজারের জন্য হতে চলেছে তথ্য ও রিপোর্টে ঠাসা। মঙ্গলবার প্রকাশিত হবে জুন মাসের ভোক্তা মূল্যসূচক (সিপিআই। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এর এক জরিপ অনুযায়ী, অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতি ২ দশমিক ৭ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
এছাড়া, মঙ্গলবারই আসছে মার্কিন তিন শীর্ষ ব্যাংক জেপি মরগান চেজ, ওয়েলস ফার্গো এবং সিটিগ্রুপের আয় প্রতিবেদন। সপ্তাহের পরবর্তী অংশে পেপসিকো, আমেরিকান এক্সপ্রেস ও নেটফ্লিক্সের মতো কোম্পানিগুলোর ফলাফলও প্রকাশিত হবে।
‘সতর্ক আশা’ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে
অ্যাপটাস ক্যাপিটাল অ্যাডভাইজার্সের পোর্টফোলিও ম্যানেজার ডেভিড ওয়াগনার বলেন, ‘বাজারের জন্য এটা কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস নেওয়ার সুযোগ। আমরা ইতিহাসের সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছেছি, কিন্তু এখনও বিনিয়োগকারীরা সতর্ক।’
তিনি বলেন, ‘অনিশ্চয়তা এখনো আছে, বিশেষ করে ট্রাম্পের শুল্ক-নীতি ও ভিন্নমুখী অবস্থানের কারণে। মানুষ এখনও পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী নয়।’