সুদানের দারফুর অঞ্চলের আল-ফাশের শহরে এক মসজিদে ড্রোন হামলায় অন্তত ৭৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ২০ জন। এক জ্যেষ্ঠ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ভোরের প্রার্থনার সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার জন্য আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)–কে দায়ী করা হলেও এখনো গোষ্ঠীটির পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য আসেনি।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, মসজিদে নামাজ চলাকালে আকস্মিকভাবে ড্রোন হামলা চালানো হয়।
দুই বছরের বেশি সময় ধরে সুদানের সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে তীব্র সংঘাত চলছে। আল-ফাশের শহর বর্তমানে সেনাদের শেষ ঘাঁটি, আর সেটির নিয়ন্ত্রণ নিতে ধাপে ধাপে অগ্রসর হচ্ছে আরএসএফ। এ শহরে তিন লাখেরও বেশি সাধারণ মানুষ আটকা পড়ে আছেন।
চলতি সপ্তাহে আরএসএফ শহরের বাইরে অবস্থিত বাস্তুচ্যুতদের শিবিরে নতুন করে হামলা চালায়। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাব (এইচআরএল) স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে জানিয়েছে, শিবিরটির বড় একটি অংশ এখন আরএসএফের নিয়ন্ত্রণে।
সুদানি বিশ্লেষক ও মানবাধিকারকর্মীদের আশঙ্কা, অ-আরব জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে জাতিগত নিপীড়ন বাড়াতে পারে আরএসএফ। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, সংঘাত ধীরে ধীরে জাতিগত আকার ধারণ করছে এবং প্রতিপক্ষকে সহযোগিতার অভিযোগে উভয় পক্ষই সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালাচ্ছে।
জাতিসংঘ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার নথিতে দেখা গেছে, দখলকৃত এলাকায় অ-আরব সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে জাতিগত নির্মূল অভিযান চালাচ্ছে আরএসএফ।
আন্তর্জাতিক চিকিৎসাসেবামূলক সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স সম্প্রতি জানিয়েছে, আল-ফাশের থেকে অ-আরব জনগোষ্ঠী উচ্ছেদ করার পরিকল্পনার কথা প্রকাশ্যে জানিয়েছে গোষ্ঠীটি। তবে এসব অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে আরএসএফ।