চলমান ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা বর্তমানে ড্রোন যুদ্ধে রূপ নিয়েছে। দুই দেশই পাল্টাপাল্টি ড্রোন ছুঁড়ে নিজেদের শক্তিমত্তার জানান দিচ্ছে।
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার জেরে দুই প্রতিবেশি দেশের সংঘাত যুদ্ধে রূপ নেয়ার পর পাকিস্তানে ছোঁড়া ভারতের প্রায় সব ড্রোনই ইসরায়েলি হারোপ ড্রোন।
অন্যদিকে, পাকিস্তানের সংগ্রহে আছে তুরস্কের তৈরি অত্যাধুনিক ‘বায়রাখতার টিবি-টু’ ও ‘আকিনজি’-র মতো শক্তিশালী সব ড্রোন।
ভারতের বহরে রয়েছে শক্তিশালী কামিকাজি ড্রোন যা লয়টারিং মিউনিশন নামেও পরিচিত। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার বেগে উড়তে পারে এটি।
আকারে ছোট এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তির কামিকাজি ড্রোন সর্বোচ্চ ১০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে পারে।
শুধু কামিকাজি নয় ভারতের অস্ত্র ভাণ্ডারে রয়েছে পাঞ্ছি, নিশান্ত, নেত্রার মতো রিয়েল টাইম চিত্র ধারণকারী ড্রোন। ইসরায়েলের নির্মিত অত্যাধুনিক হারোপ ড্রোনও রয়েছে তাদের।
ড্রোন শক্তিতে ভারতের তুলনায় কোনো দিক থেকে পিছিয়ে নেই পাকিস্তান। তাদের হাতে রয়েছে তুরস্কের অত্যাধুনিক ‘বায়রাখতার টিবি-টু’ ও ‘আকিনজি’-র মতো শক্তিশালী সব ড্রোন।
তুরস্কের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বেইকারের তৈরি আকিনজি ড্রোনটি উড়তে পারে সর্বোচ্চ ৪৫ হাজার ফুট উচ্চতায়। যার গতি প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩৬১ কিলোমিটার। টানা ২৪ ঘণ্টা অবস্থানও করতে পারে আকাশে।
বর্তমানে সারাবিশ্বে সবচেয়ে শক্তিশালী ড্রোনের তালিকায় প্রথমদিকে রয়েছে তুরস্কের আঙ্কা ও চীনা উইং লুং ড্রোন। এ ড্রোনগুলো পাকিস্তানের সংগ্রহে রয়েছে।
নির্ভরযোগ্য সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, চীনা উইং লুং-২ ড্রোন রয়েছে প্রায় ৫০টির মতো পাকিস্তানের ড্রোন ভাণ্ডারে।
এছাড়াও পাকিস্তানের ভান্ডারে ইতালীয়ান সেলেক্স ফ্যালকো ড্রোন রয়েছে ২৬টি, তুরস্কের তাই আংকা ড্রোন রয়েছে ২৪টি, নিজস্ব তৈরি শাহপার-২ রয়েছে ১২টি, বেরাক্তার টিবি-২ ড্রোন রয়েছে ছয়টি, নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি ৩০টি সালার ড্রোন, জার্মানির তৈরি লুনা এনজি ড্রোন রয়েছে দুটি।
উল্লেখ্য, ভারত সামরিক খাতে পাকিস্তানের চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি ব্যয় করে। দিল্লি যেখানে সামরিক খাতে ৭৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে সেখানে ইসলামাবাদের খরচ মাত্র সাড়ে ৭ বিলিয়ন। তারপরও ভারতীয় সকল হামলার পাল্টা জবাব খুব শক্তিশালী ভাবেই দিচ্ছে পাকিস্তান।
শুক্রবার (৯ মে) এক সংবাদ ভারতের ৩৬টি স্থানে ৮ ও ৯ মে’র মাঝরাতে পাকিস্তান ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে স্বীকার করেছে ভারত।
এ হামলায় ৩০০ থেকে ৪০০টি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের সেনাবাহিনী। ড্রোনগুলো তুরস্কের তৈরি বলেও দাবি করেছে তারা।