দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (ডিপি) লি জে-মিয়ং। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নির্বাচনে পরাজন মেনে নেওয়ায় জয় পেলেন এই বামপন্থি নেতা।
মঙ্গলবার (৩ জুন) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছেন, লি’র নিকটতম প্রেসিডেন্ট প্রার্থী রক্ষণশীল পিপল পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) কিম মুন-সু নিজের পরাজয় মেনে নিয়েছেন।
কিমের পরাজয় বরণের অর্থ হলো লি জে-মিয়ং দক্ষিণ কোরিয়ার পরবর্তী নেতা হওয়ার জন্য নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। সংক্ষিপ্ত এক ভাষণে নিজের সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং নতুন প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দ জানিয়েছেন।
এদিকে সবেমাত্র শেষ হওয়া এক ভাষণে লি দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও কোরিয়ান উপদ্বীপে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এখন পর্যন্ত প্রায় ৯৫ শতাংশ ভোট গণনা সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে লি ৪৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কিম ৪১ দশমিক ৯৯ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।
আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণার পরপরই আগামীকাল (বুধবার) সকালেই দক্ষিণ কোরিয়ার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন লি। এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির নেতৃত্বের শপথ নেওয়ার আগেই তার মন্ত্রিসভায় কে যোগ দেবেন সেদিকে মনোযোগ দিয়েছেন তিনি। কারণ নবনির্বাচিত সরকার প্রধানকে বেশ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ব্যাপকভাবে খবর প্রকাশ করেছে যে, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির লি-পন্থী অংশের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব কিম মিন-সিওককে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রধানমন্ত্রী হলেন সরকারের উপ-প্রধান, যা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে সামরিক আইন জারির ব্যর্থতার কারণে ক্ষমতাচ্যুত করার পর সংঘটিত আগাম নির্বাচনে লি জে-মিয়ংয়ের জয় নিশ্চিত বলে পূর্বাভাস দিয়েছে সম্প্রচার সংস্থা কেবিএস, এমবিসি এবং এসবিএস।