আধা-সরকারি ইরানি সংবাদ সংস্থা আইএসএনএ ইরানের বিচার বিভাগের একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, গত ২৩ জুন তেহরানের এভিন কারাগারে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৭১ জন নিহত হয়েছেন।
আসগর জাহাঙ্গীর রোববার (২৯ জুন) বলেন, ‘কারাগারের প্রশাসনিক কর্মী, সেনা সদস্য, বন্দি, কারাগারে থাকা বন্দিদের পরিবার যারা আদালতে তাদের মামলা পরিচালনা করতে বা তাদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল এবং কারাগারের কাছাকাছি বসবাসকারীরা’ নিহত হয়েছেন।
এভিনে চালানো হামলাকে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ ‘তেহরানের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত শাসকগোষ্ঠী ও সরকারি সংস্থাগুলোর লক্ষ্যবস্তু’ বলে অভিহিত করেছেন।
কারাগারের উপর হামলা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ও কারাবন্দি ইরানি মানবাধিকার কর্মী নার্গিস মোহাম্মদী বলেছেন, এই আক্রমণ ‘নিঃসন্দেহে যুদ্ধাপরাধের একটি স্পষ্ট উদাহরণ’।
জাতিসংঘের মানবাধিকার মুখপাত্র থামিন আল-খেতান বলেছেন, এভিন ‘কোনো সামরিক লক্ষ্যবস্তু নয়। এটিকে লক্ষ্যবস্তু করা আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন।’
ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী দাবি করেছে, ‘অসংযুক্ত ব্যক্তিদের ক্ষতি এড়াতে লক্ষ্যবস্তু পদ্ধতিতে’ হামলা চালানো হয়েছিল, তবে বন্দিদের পরিবার তাদের প্রিয়জনদের নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ইরানি মিডিয়ার বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্টে এমন দৃশ্যের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে, যেখানে বেসামরিক এবং বন্দিরা আহত বা নিহত হয়েছেন।
এভিন থেকে তেহরানের অন্যান্য কারাগারে বন্দিদের স্থানান্তরিত করার খবরও রয়েছে, যা পরিবার ও মানবাধিকার কর্মীদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :