গত ১৮ মাসে মিয়ানমার থেকে নতুন করে প্রায় দেড় লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, যা ২০১৭ সালের পর সর্বোচ্চ রোহিঙ্গা প্রবেশের ঘটনা।
শুক্রবার (১১ জুলাই) জেনেভায় এক ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র বাবার বালোচ এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, মিয়ানমারে সাম্প্রতিক সহিংসতা বৃদ্ধির কারণে বহু মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আসছেন।
বালোচ সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাখাইন রাজ্যে নিপীড়ন ও লক্ষ্য করে চালানো হামলা এবং দেশের অন্যান্য অঞ্চলে চলমান সংঘাতের ফলে হাজার হাজার মানুষ এখনো নিরাপত্তার খোঁজে বাংলাদেশে পালিয়ে আসছেন।’
তিনি জানান, এই দেড় লাখ নতুন রোহিঙ্গা কক্সবাজারে আশ্রয় চেয়েছে, যেখানে আগে থেকেই ক্যাম্পগুলো অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপে বিপর্যস্ত। এতে পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়ে উঠেছে।
২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর গণহত্যা শুরু করে। সেই সময় প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘সব ধরনের চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশ বহু বছর ধরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে আসছে, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।’
এদিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও দাতব্য সংস্থাগুলো রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে এবং তাদের নিজভূমিতে টেকসই প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা নিতে বৈশ্বিক সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে আসছে। বর্তমানে বাংলাদেশে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিক বা রোহিঙ্গা রয়েছে ১২ লাখের বেশি। তথ্য বলছে, রোহিঙ্গা শিবিরে ৫২ থেকে ৫৫ শতাংশ নারী-শিশু।
সূত্র: আউটলুক, যুগান্তর
আপনার মতামত লিখুন :